স্পোর্টস ডেস্ক:
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে নেপালকে ১ রানে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসি সহযোগী দলটির বিপক্ষে হারতে হারতে শেষ মুহূর্তে বেঁচে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। জিতলো মাত্র ১ রানে।
এবারের যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে। কারণ টি-টোয়েন্টিতে বড় দল বলতে যে কিছুই নেই, যে কারও দিনে যে কেউ জিতে যেতে পারে, সেটা প্রমাণ হলো আরও একবার।
এই যেমন আজ আইসিসি সহযোগী দেশ পুঁচকে নেপালের কাছে হারতে বসে শেষ মুহূর্তে মাত্র ১ রানে জিতলো। হেরেও যেতে পারতো আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মত ক্রিকেট পরাশক্তিও।
সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে অ্যারোনেস ভেল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১১৫ রানের জবাবে নেপাল ১১৪ রান তুলে ফেলেছিলো। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় শেষ পর্যন্ত মাত্র ১ রানে হারলো তারা।
১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ওপেনার কুশাল ভুর্তেল এবং আসিফ শেখ মিলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ১৩ রান করে আউট হন কুশল। একই ওভারে মাত্র ২ বল খেলে কোনো রান না করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক রোহিত পাউডেল।
তবে আসিফ শেখ এবং অনিল শাহ মিলে দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটিতে নেপালের স্কোর ১৪তম ওভারে ৮৫ রানে চলে যায়। নিশ্চিত জিতে যাবে নেপাল- এমনটাই মনে হচ্ছিলো।
এমন সময়ই অকেশনাল বোলার এইডেন মারক্রাম বল করতে এসে ব্রেক থ্রু দিলেন। ২৪ বলে ২৭ রান করা অনিল শাহকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মার্কো ইয়ানসেনের হাতে। ৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ব্যাট করতে নেমে নেপালি বোলারদের তোপের মুখে পড়তে হয় প্রোটিয়াদের। এই ম্যাচেই বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নামেন সন্দিপ লামিচানে।
নেপালি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৫ রান করতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার রিজা হেনড্রিক্স করেন সর্বোচ্চ ৪৩ রান। ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ট্রিস্টান স্টাবস। এইডেন মারক্রাম করেন ১৫ রান। ১০ রান করেন কুইন্টন ডি কক।
সময় জার্নাল/এলআর