বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

বৃষ্টি থামছেই না, সিলেট শহরে হাঁটু পানি

বুধবার, জুন ১৯, ২০২৪
বৃষ্টি থামছেই না, সিলেট শহরে হাঁটু পানি

জেলা প্রতিনিধি:

অবিরাম বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিলেটের নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। নদ-নদীতে পানি না কমায় নতুন করে তলিয়ে যাচ্ছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। শহরে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমরসমান পানি বিরাজ করছে।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নগরীর অভিজাত এলাকা উপশহর, তালতলা, জামতলা, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, মাছিমপুর, ঘাসিটুলা, শামীমাবাদ ও বাগবাড়িসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে কয়েকটি এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি দেখা গেছে। এতে চরম আতংকে রয়েছেন বাসিন্দারা। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে শুরু করেছেন।

এদিকে, নগরীর বিভিন্নে এলাকার মসজিদে মাইকিং করে পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে যেকোনো সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

নগরীর শামীমাবাদ এলাকার ১ নম্বর রোডের বাসিন্দা জাহিদুল হক বলেন, ‘ঈদের দিন ভোরের দিকে ঘরে কোমরসমান পানি ওঠে যায়। আকস্মিক পানিতে ঘরের অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়। এতে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। আজ সকালে ফের কোমরসমান পানি হয়েছে ঘরের মধ্যে।’

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) বলছে, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে এরইমধ্যে ২২টি ওয়ার্ড বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। এসব ওয়ার্ডের অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগরীতে ৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, মেয়রের নির্দেশনায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও বন্যাকবলিত এলাকায় রান্না করা ও শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা অপসারণে প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীতে ৮২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। একইসময় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টায় সিলেটে মাঝারি থেকে অতিভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল