মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের বাসিন্দারা

বিপৎসীমা পেরিয়ে তিস্তার পানি

বুধবার, জুন ১৯, ২০২৪
বিপৎসীমা পেরিয়ে তিস্তার পানি

নিউজ ডেস্ক : ধারাবাহিক ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে বিপৎসীমা পেরিয়েছে তিস্তার পানি। কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর এতে ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নদী তীরের মানুষ। ভাঙনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি ও ফসল সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা। হুমকিতে পড়েছে নদীর তীর রক্ষা স্পার বাঁধসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।

দেখা গেছে, তীব্র স্রোতে বইছে তিস্তা। স্রোতের তোরে ভাঙছে পাড়। ভাঙনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি ও ক্ষেতের ফসল সরিয়ে নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। দেবে গেছে বুড়ির হাট তীর রক্ষা স্পারের পাশে ফেলা জিওব্যাগ। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে তা রক্ষার চেষ্টা করছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ের কালিরমেলা এলাকায় তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষজন। তিস্তার পানি বাড়ায় এমন দৃশ্য রাজারহাটের ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা, বুড়িরহাটসহ উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকার।

ভাঙন কবলিতরা জানান, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙনে ভেসে গেছে কারো ঘর আবার কেউ কেউ সরিয়ে নিচ্ছেন তাদের ঘর-বাড়িসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

রাজারহাটের কালিরমেলা এলাকার তিস্তা পাড়ের কুদ্দুস আলী জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার তীব্র ভাঙনে আমার একটি ঘর নদীতে চলে গেছে। রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বাকী ঘর সরিয়ে নিচ্ছি কিন্তু যাওযার কোন জায়গা নেই।

একই এলাকার সবুজ জানান, বাড়ির গাছপালা ঘর সব সরিয়ে নিচ্ছি। না সরালে রাতেই সব সব নদীতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি উন্নযন বোর্ড গত বছর কিছু জিওব্যাগ ফেলেছিল কিন্তু সেগুলো পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার নদীর কাজ না করায় আমাদের এ অবস্থা।

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি বাড়ায় আমার ইউনিয়নের অসংখ্য ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। অনেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। তিস্তার ভাঙ্গনে অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করে হুমকিকে থাকা ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংসদ সদস্যকে অবগত করার কথা জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

স্থানীয়রা জানান, গত একমাসে রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তার ভাঙন বিলীন হয়েছে প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশা তিস্তার স্থায়ী ভাঙন রোধে চলমান সমীক্ষা শেষে কাজ করা হবে।

এছাড়াও উজানের ঢল ও স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টি পাতের ফলে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।

এসজে/এমএম


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল