লালমনিরহাট প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি আরও বেড়েছে। যা এখন বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দুই পাড়ের মানুষ।
এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। যা ছিল বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে যে কোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তার পানি সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে এরপর কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
পানি বাড়ায় তিস্তা অববাহিকার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন। বিশেষ করে সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন এবং আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নগুলো বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির দেখা দিতে পারে।
আরইউ