অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
ঈদের ছুটির রেশ কেটে গেলেও এখনো ভ্রমণপিপাসু মানুষের মনে ঈদের আমেজ রয়ে গেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। এতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো মানুষের উপচে পড়া ভিড় যেমন রয়েছে তেমনি স্থানীয় দোকানপাটগুলোতেও বেচা বিক্রির ধুম পড়েছে। রোববার থেকে দশানার্থীদের বিয়ের কিছুটা কমতে পারে বলে জানা গেছে।
ঈদ-উল- আজহারের ছুটিতে লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম মেঘনা নদীর পাড়ের অপরূপ এই দর্শনীয় স্থান গুলোতো হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন অনেকেই। নদীর হিমেল হাওয়ায় শরীরটা জুড়িয়ে নিতে এখানে ছুটে আসছেন তারা। স্বামী, সন্তান, পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে আসেন মেঘনা নদীতে জেলেদের রুপালি ইলিশ ধরার দৃশ্য কিংবা বিভিন্ন চর-ডুবো চরে গরু মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার বাথান।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার সঙ্কটকালীন সময় পার করে সামাজিক বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ায় হাজারো পর্যটকের পাদচারণায় মুখরিত লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত মেঘনা নদীতে ব্লকে বাঁধাই করা বেড়িবাঁধ ‘মেঘনা সি বিচ’। রামগতির উপজেলা পরিষদের সামনে ও কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট, মতিরহাট, সদরের দালাল বাজার খোয়া সাগর দিঘির পাড়, জমিদার বাড়ী, আলতাফ মাস্টার ঘাট রায়পুরের চরবংশী এই স্থানগুলো অবস্থিত।
দল বেঁধে আসতে দেখা গেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। অনেকে নদীতে স্পিড বোট এবং নৌকায় করে ঘুরে দেখেন। শিক্ষার্থীরা মেতে উঠে ফুটবল ও সাঁতারে। বাঁধের জিওব্যাগের ভিতরের অংশ নিরাপদ হওয়ায় সকল লোক অনায়াসে নেমে পড়েন নদীর জলে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই টুরিস্ট স্পটে বাস, ট্রাক, পিক-আপসহ নানান যানবাহনে করে বুবুজেলা কিংবা মাইক বাজিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে পর্যটকদের। বর্তমানে রামগতি উপজেলা আলেকজান্ডার বাজার ও কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এবং মতিরহাটের মেঘনার তীরে এসব মানুষের ঢল নেমেছে।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব স্থানগুলোতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুরিস্টদের বসার জন্য কিছু ছাতা ও স্ট্রিট সোলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বেশকয়েকজন পর্যটক আবীর আকাশকে জানান, এখানে আমরা অত্যন্ত নিরাপদভাবে আনন্দ উপভোগ করছি। কোন ধরনের ঝামেলা নেই এখানে।
রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু আবীর আকাশকে জানান, এই স্থানটি পৌরসভার মধ্যে পড়ায় আমদের পক্ষ থেকে আমরা এ অঞ্চলের মানুষকে ট্যুরিজম বান্ধব এবং ট্যুরিজম সম্প্রসারণে সকল ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধা বাড়াতে নানান প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবীর আকাশকে জানান, পর্যটন স্পটের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর