ক্রীড়া প্রতিবেদক:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ মিশন শেষে আজ দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। শুক্রবার সকাল ৯ টা ৭ মিনিটে অ্যামিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেছে তারা।
বিমানে বন্দরে এসে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপ যাত্রা কেমন ছিল, দীর্ঘ যাত্রায় প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।
বাংলাদেশের দলের কাছে ভক্তরা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলেন, সেটি পূরণ করতে পারেনি ক্রিকেটাররা। সেমিফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগ আসলেও সেটি মিস করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সাক্ষাৎকারে সেটি স্বীকার করেছেন তাসকিন। তবে ইতিবাচক অনেক কিছুও ছিল বলে মনে করছেন তিনি।
তাসকিন বলেন, ‘শুধু মাইনাসের দিক দেখলেই তো হবে না। কিছু পজিটিভ দিকও তো আছে। চেষ্টা করছি পজিটিভের দিকে আসার। সেই চেষ্টা করেই যাবো। আমরা হতাশ হচ্ছেন স্বাভাবিকঅ। আবার আমরাও আপনাদের বড় জয় উপহার দিব। বিশ্বাস রাখেন আমাদের উপর, আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ১২ ওভারে লক্ষ্য টপকে যেতে সেমিফাইনালে যেতে পারতো বাংলাদেশ। সেটি তো পারেইনি, উল্টো হেরে বসেছে তারা।
হতাশাজনক এই ম্যাচ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘দেখেন সত্যি কথা বলতে ভালোর তো কখনোই শেষ নাই। ধরেন আমরা আরও অনেক ভালো হইতে পারতো। বিশেষত শেষ ম্যাচটায় আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টাই করেছিলাম প্রথমে ১২ ওভারের মধ্যে, পরে যখন বুঝতে পারলাম সম্ভব না; তখন নরমালি ট্রাই করছিল সবাই। তাও জিততে পারি নাই।’
ব্যর্থতার পাশাপাশি অন্য দৃষ্টিতে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বিশ্বকাপ এটি। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৩টি জয় পেয়েছে। এর আগে যা কখনো পায়নি।
সেটি মনে করিয়ে তাসকিন বলেন, ‘হ্যাঁ, ইতিবাচক সাইন আছে পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে বোলিং বেশ ভালো করেছে। সুপার এইটে উঠছি। সর্বপ্রথম এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। ইতিবাচক আছে, কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। আসলে সবার মতো আমরাও একটু হতাশ, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।’
এমআই