নিজস্ব প্রতিনিধি:
‘বৈষম্যমূলক’ পেনশন ব্যবস্থার আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দেয়ার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ব্যানারে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এর আগে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের প্রধান ফটকে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে ফেডারেশন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত, সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রাম, প্রফেশনাল প্রোগ্রাম, অনলাইন ক্লাস ও অফলাইন ক্লাস, প্রশাসনিক কাজসহ সব শ্রেণির ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান কার্যালয়, হল প্রভোস্ট অফিস, গবেষণা কেন্দ্র, ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ডিন অফিস, কম্পিউটার ল্যাব ও সেমিনার বন্ধ থাকবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা পুরোপুরি কর্মবিরতিতে যাব। এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হয়নি। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে। আমরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করছি।’
একইভাবে সর্বজনীন পেনশন-সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে ধর্মঘট-প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করছে তার মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাসময়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রবাসী, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি প্রকল্প নিয়ে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প যাত্রা শুরু করে। পরে সব স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে একটি নতুন স্কিম চালু করা হয়।
অর্থনীতিবিদ ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে প্রত্যাবর্তনের আকর্ষণীয় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন পাওয়া তহবিলের প্রতি আস্থা না থাকায় মানুষ খুব ধীর গতিতে নিবন্ধন করছে।
সময় জার্নাল/এলআর