সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে বেলা ১২টার দিকে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে ২০ মিনিট কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘স্বাধীন এই বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, 'চাকরিতে কোটা, মানি না, মানবো না', 'মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই', 'সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে', ‘কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’,'১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে', 'কোটা প্রথায় নিয়োগ পেলে, দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে'সহ নানা স্লোগান দেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটাপ্রথা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। সাংবিধানিকভাবে এটি শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য। কোটাপ্রথার মাধ্যমে আমাদের অধিকারের উপর লাথি মারা হচ্ছে। এই আন্দোলন আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। এটা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়৷
তারা আরও বলেন, বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে মেধাবীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে যা অন্যায্য ও সংবিধান বহির্ভূত। জেনেবুঝে আমরা মানবাধিকের লঙ্ঘন হতে দিতে পারি না। ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কোটাব্যবস্থা বাতিল করা হয় যা সরকারে অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত। আমরা বাতিল নয়, সংস্কারের পক্ষে দাড়িয়েছি। আর কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত চাই না। যতক্ষণ পর্যন্ত হাইকোর্ট থেকে একটি সন্তোষজনক সমাধান না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত মঙ্গলবারও কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
সময় জার্নাল/এলআর