স্পোর্টস ডেস্ক: তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরো ২০২০ এ শুভসূচনা করলো ইতালি। প্রথম ৪৫ মিনিটে ইতালিকে গোল করতে দেয়নি তুরস্ক। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সে প্রতিরোধটা ভাঙল কোচ রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা। তুর্কি জালে জড়ালো গুণে গুণে তিন গোল, অক্ষত রাখল নিজেদেরটা।
নিজেদের মাঠ স্তাদিও অলিম্পিকোয় শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল ইতালির। তবে মাঝমাঠের দখলটা প্রতিপক্ষ বিপদসীমা পর্যন্ত নিয়ে যেতে বেশ কাঠখড়ই পোড়াতে হয়েছে লরেঞ্জো ইনসিনিয়েদের। প্রথমার্ধে তাই দলটা বলার মতো ত্রাস সৃষ্টি করতে পেরেছে ৩৩ মিনিটে। ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে দারুণ এক হেড করেছিলেন জর্জিও কিয়েলিনি। কিন্তু তার হেডারটা কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন তুর্কি গোলরক্ষক উগুরকান চেকির। ফলে গোলহীনভাবে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দলই।
তুর্কিদের লাল দেয়ালে ফাটল ধরল দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৩ মিনিটে যখন ডমেনিকো বেরার্দির ক্রসটা বিপদমুক্ত করতে চাইলেন তুর্কি ডিফেন্ডার মেরিহ দেমিরাল। বিপদমুক্ত তো করতে পারলেনই না, উলটো জড়িয়ে দিলেন নিজেদের জালেই।
একটা ব্যারিয়ার ভেঙে গেলে নাকি তা বারবারই ভাঙে। পরের ৩৭ মিনিটে দেখা গেল তারই ছাপ। ৬৬ মিনিটে লিওনার্দো স্পিনাজোলার শট ঠেকিয়ে দিলেও কিরো ইমোবিলের ফিরতি চেষ্টায় আর পারেননি, হজম করে বসেন দ্বিতীয় গোলটি।
প্রথমার্ধে দারুণ রক্ষণের পর দ্বিতীয়ার্ধে তুর্কি দুর্দশা শেষ হয়ে যায়নি তখনই। ৭৯ মিনিটে লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে তুরস্কের কফিনে ঠুকলেন শেষ পেরেকটা। বক্সের বাইরে থেকে ইমোবিলে বলটা বাড়ান ফাঁকায় দাঁড়ানো ইতালি ফরোয়ার্ডকে। সেখান থেকে ইনসিনিয়ের ট্রেডমার্ক কার্লারে বলটা জড়ায় জালে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বে আসরে ইতালি পায় তিন গোলের জয়।
এই জয়ের ফলে চলে এসেছে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে। নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে ইনসিনিয়েরা খেলবেন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। এই স্তাদিও অলিম্পিকোতেই আজ্জুরিরা খেলবে আগামী ১৭ জুন।
সময় জার্নাল/এমআই