বাকৃবি প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননা এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম বাকৃবি শাখা এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাকৃবি প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের প্রায় শতাধিক নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার পরিবার অবমাননা এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অপ্রচারের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। কোটা বিষয়ক রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা আন্দোলনের নামে নানাভাবে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কটুক্তি করা হচ্ছে। কোটার পক্ষে রায় হাইকোর্ট দিয়েছে তাই এর সংস্কার হাইকোর্টের আইনি প্রক্রিয়ায় করা উচিত, রাস্তায় আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। আন্দোলনের নামে এই অবমাননা মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মরা কিছুতেই মেনে নিবে না।
মানববন্ধন চলাকালীন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাকৃবি প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা আফরিনা মুস্তারি বলেন, এই কোটা মুক্তিযোদ্ধারা হাত পেতে নেন নাই। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মানস্বরূপ এই কোটা দিয়েছে সরকার। এটি হাইকোর্ট ও সরকারের বিষয়। কোটা বিরোধী এই আন্দোলনকে ঘিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে অবমাননা করা হচ্ছে তা দেশের পতাকাকে অবমাননা করার সমতুল্য। এটি কিছুতেই কাম্য নয়। আন্দোলনকারীদের উচিত হাইকোর্ট ও সরকারের সাথে আলোচনা করা।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম বাকৃবি শাখার সভাপতি মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমরা আজকে মানবন্ধনের ডাক দিয়েছি কোটা সংস্কারের দোহায় দিয়ে যারা সারা বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে তাদের প্রতিবাদে। তারা বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মদের হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের জানান দিতে চায় যত দিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম বেঁচে আছে তাদের হেয় স্বার্থ কোনো দিন পূর্ণ হবে না। আমরা রাস্তায় থেকে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করবো। আমরা একচুলও তাদের বাংলার মাটিতে ছাড় দিবো না। তারা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করে এটা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই কারণ এটা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি চলমান। আইনগতভাবে যেটা চলমান সেটা নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।
এমআই