নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পিএসসির জারি করা পৃথক পাঁচটি প্রজ্ঞাপনে তাদের বরখাস্ত করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা এসব প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।
সাময়িক বরখাস্তরা হলেন—পিএসসির উপ-পরিচালক আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে আলাদাভাবে প্রত্যেকের নাম-পদবি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র প্রকাশ ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত থাকা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী কর্তৃক অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করার অভিযোগে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেফতার হয়েছেন। তারা বর্তমানে জেলহাজতে।
এতে আরও বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩’-এর ১১ ও ১৫ ধারা অনুযায়ী—পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। তারা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এজন্য গ্রেফতার পাঁচজনকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা ৩৯(২) অনুসারে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১৭ জনকে।
গ্রেফতাররা হলেন- পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।
সময় জার্নাল/এলআর