অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ:
প্রধানমন্ত্রীর ৮ থেকে ১১ই জুলাই চীন সফর নিয়ে কাল্পনিক জল্পনা কল্পনা শুনে সচেতন নাগরিক হিসেবে বক্তব্য না দিয়ে পারা গেল না।
প্রধানমন্ত্রী চীন সফর সফল না ব্যর্থ এই বিষয়ে মন্তব্য দেওয়ার কারো সাধ্য নাই, জ্ঞানও নাই, সক্ষমতাও নাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী চীন সফর কালে কি চেয়েছিলেন এবং কি পেয়েছেন তা শুধু তিনিই জানেন, তার পাওয়ায় কমতি হয়েছে কিনা বলার কারো সাধ্য নাই। কেবলমাত্র সফর একদিন সংক্ষিপ্ত করার কারণে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ব্যর্থ হয়েছে যারা বলেন তারা রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্ট।
আমি যা বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৯৬ জন অনুগামী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিং বিমানবন্দরে অবতরণের সাথে সাথে বিমানকে তার ফিরতি সিডিউল কনফার্ম করতে নির্দেশ দেন যা কিনা ১০ই জুলাই রাতে। আমার বিশ্বাস তার ১৯৬ জন অনুগামীদের ও জানানো হয় যে তাদের চীনে অবস্থান, কাজকর্ম, ঘোরাঘুরি, শপিং করা জন্য একদিন কম সময় পাবেন তারা।
তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো, আর যা কিছু দাঁড়াক না কেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ব্যর্থ হয়েছে এমন তত্ত্ব দাড় করানোর সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার আগেই সূত্র গুলোর মাধ্যমে জানতেন যে তিনি একদিন আগে ফিরবেন। পরিশেষে, যদি রাজনৈতিক কোন কথা আমাকে বলতে হয়, সেটা হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে তাকে প্রতিবেশী বন্ধু দেশের একটা প্রত্যাশার রূপকল্প জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়ে সম্মুখ উপলব্ধি ছিল এবং চীন সরকারও তা জানতেন। অর্থাৎ ঝেড়ে কাশলে বলতে হয়, প্রধানমন্ত্রীর এবারে সফরে দেড় ডজন এর মত বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এটা দুই পক্ষই জানত। জিও পলিটিক্যাল সিরিয়াস বিষয় নিয়ে চুক্তি হবে না এটাও দুই পক্ষ জানতো। সেই জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর কিছুটা অনাড়ম্বর হিসাবে প্রতিয়মান হয়। তবে আমার জিও পলিটিকাল পড়াশোনা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ভর গবেষণা এর কারণে আমি বলতে পারি, একটিও গোপন চুক্তি স্বাক্ষর হবে না এই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেনা।
বাকিটা বুঝতে আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক: অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ,
জিও পলিটিক্যাল ইকোনমিস্ট এবং চেয়ারম্যান, এনবিইআর।