শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

''কোটা প্রথা নিপাত যাক: মেধাবীরা মুক্তি পাক''

বৃহস্পতিবার, জুলাই ১১, ২০২৪
''কোটা প্রথা নিপাত যাক: মেধাবীরা মুক্তি পাক''

সামিয়া জাহান শেফা, শিক্ষার্থী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়:

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে এ আন্দোলন এখন রাজপথে। ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্রের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে কয়েকজন শিক্ষার্থী ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। গত ৫ জুন ঐ রিটের রায়ে ২০১৮ এর কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হয়। কোটা আন্দোলনকারীদের এখন এক দফা এক দাবি। সেটি হলো সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা দেওয়া হলো উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেছেন, আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী দিন রাখা হলো। কিন্ত প্রশ্ন তো থেকেই যাচ্ছে? এই রায় কী স্থায়ী হবে?কোটা আন্দোলন থামানো বা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই রায় যেন না হয়। আমাদের যৌক্তিক চাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই, প্রতিদিন তো আমরা রাজপথে আন্দোলন করবো না। আমাদের পড়া আছে, ক্লাস-পরীক্ষা আছে। কোটা নিয়ে বারবার টালবাহানা আমরা দেখতে চাই না।

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোটা ছিল মোট ৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা (মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও  নাতি-নাতনি) কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা এবং ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা আর ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা।ওই বছর কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশ করার দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তীব্র আন্দোলনের মুখে একপর্যায়ে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে পুরো কোটাব্যবস্থাই বাতিল করে। অথচ আন্দোলন ছিলো সংস্কারের। সম্ভবত একরকম জিদ করেই সরকার পুরো কোটাই উঠিয়ে দেন। এখন সরকারি চাকরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কোটা পুনর্বহালের রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। কী অদ্ভুত ব্যবস্থা! পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা নেই। একটা স্বাধীন দেশ, যার জন্মই হয়েছিল বৈষম্য দূর করার জন্য সেই স্বাধীন দেশে কীভাবে এমন বৈষম্য থাকতে পারে! মুক্তিযুদ্ধের এত বছর পর কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক, অযৌক্তিক এবং বিদঘুটে একটা ব্যবস্থা।

কোটা এদেশে নতুন নয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হতো। বাকি ৮০ শতাংশ পদে কোটায় নিয়োগ হতো। ১৯৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ৪০ শতাংশে বাড়ানো হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করা হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বহাল ছিলো। 

কোটা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯ এর দফা (১)(২) ও (৩)-এ বলা হয়েছে- ০১. সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হবে। ০২. মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ সুবিধা দান নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ০৩. জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮ এর দফা (৪) এ বলা হয়েছে- নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন হতে এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না। এখানে শুধু নারী, শিশু এবং অনগ্রসরদের কথা বলা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ২৯ এর দফা (৩) (ক) এ বলা হয়েছে- এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশ যাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারে, সে উদ্দেশ্যে তাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না। এখানে নির্দিষ্টভাবে অনগ্রসর অংশের কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কী আমরা ঢালাওভাবে অনগ্রসর বলতে পারি? সব মুক্তিযোদ্ধা কী অনগ্রসর? একজন মন্ত্রী যিনি মুক্তিযোদ্ধা তিনি কী অনগ্রসর? তার সন্তান, নাতি-নাতনি কী অনগ্রসর?তাদের কী কোটার দরকার আছে? যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা দেয়াও হয়, তাহলে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হোক, তাদের সন্তান, নাতি-নাতনী তো যুদ্ধ করে নাই। তাদেরকে কেন ঢালাওভাবে অনগ্রসর বলা হবে? ঢালাওভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের অনগ্রসর বলার অর্থ তাদের অসম্মান করা। 

বাংলাদেশের সংবিধানে কোথাও স্থায়ীভাবে কোটার কথা বলা নেই। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য “ইনটেরিম রিক্রুটমেন্ট রুল”। ‘ইনটেরিম’ তথা অস্থায়ী বা অর্ন্তবর্তীকালীন। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার যে বঙ্গবন্ধুর করা সেই নীতিটি ছিলো অস্থায়ী; অর্ন্তবর্তিকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সেই সময়ের জন্য। এটা সংবিধানে কোন স্থায়ী কিছু ছিলো না। তখনকার প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটাজাতীয় বিশেষ ব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতা ছিলো। কারণ যুদ্ধ করেছেন অধিকাংশ খেটে খাওয়া কৃষক, শ্রমজীবী আর তরুণ শিক্ষার্থীরা। ঐ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ফেরত মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে নিহত, কেউ আহত, অনেকে স্বজন-ঘরবাড়ি সহ সর্বহারা সবমিলিয়ে শারীরিক মানসিকভাবে তাঁরা বিধ্বস্ত। স্বাভাবিকভাবেই যারা যুদ্ধ করেনি বা আর সব সাধারণ মানুষের তুলনায় চাকরির মতো প্রতিযোগিতামূলক ব্যাপারে তাঁরা অনগ্রসর। কোটা তখন তাঁদের অগ্রসর জীবনের জন্য, তাঁদেরকে সম্মান জানানোর জন্য দরকার ছিলো। কিন্ত এখন স্বাধীনতার তেপান্ন বছর পর আমরা যখন উন্নয়নশীল দেশ, তখন কী আমাদের দেশে ʼ৭১ পরবর্তী অবস্থা? এখন কি অস্থায়ী অর্ন্তবর্তীকালীন কোন আইন চিরস্থায়ী আইন হতে পারে? তাহলে এটা কি বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার পরিপন্থী না? 

মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের বীর সন্তান। তাঁরা অত্যন্ত সম্মানীয়। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। এজন্য তাঁদের সামাজিক-আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ভাতার ব্যবস্থা আছে, নানা সুবিধা আছে। প্রয়োজনে তাদের ভাতা আরো বাড়ানো হোক। কিন্ত ঢালাওভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সবাইকে ‘অনগ্রসর’ তাঁদের সন্তান এমনকি নাতি-নাতনীর জন্যেও ৩০ শতাংশ কোটা থাকবে এটা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক এবং অযৌক্তিক। বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন স্বৈরাচার পাকিস্তানের বৈষম্যমূলক শাসনের হাত থেকে নিষ্কৃতির জন্য। আমাদের যুদ্ধটা ছিলো অন্যায়, অন্যায্য আর বৈষম্য থেকে রেহাই পাওয়ার। সেখানে কোটাতে অনায্যভাবে বংশ পরম্পরায় কোটাধারীরা সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণী হিসেবে গড়ে উঠবে। ঠিক এই বৈষম্য দূর করার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। স্পষ্টতই কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। মুক্তিযোদ্ধারা কী তবে বৈষম্যের পাকিস্তান থেকে মুক্ত হতে যুদ্ধ করেছিলেন বৈষম্যের বাংলাদেশ গড়তে? এখন তাই ৫৬ শতাংশের সবচেয়ে বড় অংশ ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। অবশ্যই পুরো ৫৬ শতাংশই সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে কয়েকটি কথা: ০১. ঢালাওভাবে সব মুক্তিযোদ্ধাকে কেন অনগ্রসর বলা হবে? যেসব মুক্তিযোদ্ধা পঙ্গু,যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাদের ছেলেমেয়ে যাঁরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে তাঁরা অনগ্রসর হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। ০২.মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনি কেন বংশ পরম্পরায় এই সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন? তারা তো যুদ্ধ করেননি। ০৩. যদি ১৯৭২ এ করা বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী আইন মানাই হয়, তাহলে শুধু মুক্তিযোদ্ধারা কোটার সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন( যদিও তা অস্থায়ী অর্ন্তবর্তীকালীন ছিলো) । তাই যদি হয় আসল মুক্তিযোদ্ধাদের কারো কী এখন চাকরির বয়স আছে? তারা কীভাবে এখন কোটা ব্যবহার করবেন? তাহলে তো ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণই হবে না। হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চয়ই এই সুবিধা পাওয়া উচিত না? ০৪.কোটার শূন্য পদগুলোতে কেন মেধাবীদের দ্বারা পূরণ করা হবে না? কেন তারা সুযোগ পাবে না?

স্কুল-কলেজ পেরিয়ে, চার-পাঁচ বছর অনেক পরিশ্রম করে, অর্থ খরচ আর বাবা-মায়ের আশারর প্রদীপ হয়ে পড়া শেষ করে যখন দেখি চাকরির বাজারে কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া আমাকে, আমাদেরকে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে তখন সেটা কতটা শঙ্কা আর নিরাশার বিষয়। এটা তো অস্তিত্বেরই সংকট। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে নিদারুণ স্বপ্নের ব্যাপার কোটা প্রথা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে যেটা আমাদের জীবিকা নির্বাহের প্রশ্ন, রুটি রুজি প্রশ্ন সেখানে কেন এত বৈষম্য? দেশে এখন খোদ জাতীয় কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস করে, ৫৬ শতাংশ কোটা আমরা তাহলে কোথায় যাবো? তরুণরা আর কতভাবে ঠকবে? স্বাধীন একটা দেশে কেন অর্ধেকেরও বেশি সিট সংরক্ষিত থাকবে? কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক, অসাংবিধানিক একটা ব্যবস্থা। মেধাবীদৈর মেধার অস্বীকৃতি। এরকম হলে শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হবে। আমাদের মেধা বিদেশে পাচার হলে সেটা কী দেশের জন্য খুব সুখকর হবে? 

আমরা মেধার মূল্যায়ন চাই। কোটা ব্যবস্থা যৌক্তিকভাবে সংস্কার করা হোক। সোনার বাংলায় কোন বৈষম্য চলবে না। কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। রাজপথে আন্দোলন থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল,  আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছিলাম। কোটা আন্দোলন এখন ক্যাম্পাস থেকে রাজপথে। আমাদের আন্দোলনও সফল হবে বলে আমরা মনে করি। এটা অত্যন্ত ন্যায্য আন্দোলন। সরকার এবং হাইকোর্ট জনমত বিবেচনায় আনা উচিত। 

বাংলার আকাশে বাতাসে ভাসছে “কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক”, “সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে”, “কোটা না মেধার? মেধা মেধা”। আমরা চিরস্থায়ী সমাধান চাই। 

সামিয়া জাহান শেফা,
শিক্ষার্থী, জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগ,
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়.

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল