হিলি প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হিলিতে ১২বছর বয়সি এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগে কনের বাবা আতিয়ার রহমানকে ২০হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সেই সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কনে বাবার কাছেই থাকবে মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হিলির খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত রায় তাকে এই জরিমানা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আতিয়ার রহমান ওই এলাকার আসাবুদ্দিন এর ছেলে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত রায় বলেন,হিলির চৌধুরী ডাঙ্গাপাড়া এলাকার জনৈক আতিয়ার রহমান তার ১২বছর বয়সি কিশোরী মেয়েকে বরপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলায় নিয়ে গিয়ে সেখানকার ইউনুস আলীর ছেলে আব্দুর রহিম বাদশার সাথে বাল্যবিবাহ সম্পাদন করেছেন। সেখান থেকে আজ ছেলে ও মেয়ে উভয়েই মিলে হিলিতে বাবার বাড়িতে আসে। এসময় স্থানীয়দের মাধ্যমে সেই খবর পেয়ে বিকেলে সেখানে অভিযান চালানো হয়। ছেলের বয়স ঠিক থাকলেও কনের জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ি তার বয়স হয়েছে মাত্র ১২বছর। মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার কথা স্বিকার করেছেন কনের বাবা আতিয়ার রহমান। এই অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবা আতিয়ার রহমানকে ২০হাজার টাকা জরিমানা প্রান করা হয়। অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বরকে আজকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সাথে মেয়ের বয়স ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত সংসার করতে স্বামীর বাড়িতে পাঠাবেনা মর্মে কনের বাবার নিকট থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এমআই