নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধেরঅন্যতম সংগঠক ও স্বাধীন বাংলাদেশের বৃহত্তর খুলনার (খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট) খুলনা-৬ নির্বাচনী এলাকার ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য এম এ বারীর ৩৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ।
১৫ জুলাই ১৯৮৪ সালে তিনি মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৫ মেয়ে ও ৩ ছেলে রেখে যান। তার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ ও খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর উদ্যোগে সভা ও দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে দোয়া মাহফিল ও গরীবদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
এম এ বারী গোপালগঞ্জের কাঠিখানার পাড়ে মুন্সি কিরামতুল হক ও সাজু বেগম দম্পতির ঘরে ১৯৩৪ সালের ১৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করলেও তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় খুলনা জিলা স্কুলে এবং পড়াশুনা শেষ করেন ব্রজলাল বিশ^বিদ্যালয় কলেজে (বি এল কলেজ)। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন ভাষা সৈনিক ছিলেন। পরে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির সনদ ৬ দফা বাস্তবায়নে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ আবু নাসের এর ঘনিষ্ঠ সাহচার্য্য লাভ করেন।
মরহুম এম এ বারী ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালিন খুলনা-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাহার কনিষ্ঠ কণ্যা ফারজানা আফসার (রিতা)-প্রেসিডেন্ট-ইষ্টার্ণ ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, ডিরেক্টর-ল্যাটিন অ্যামেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিও সাবেক লেডি ডিস্ট্রিক গভর্ণর ও কাউন্সিল চেয়ারপার্সন-এমডি ৩১৫-লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল। সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।
এমআই