বাকৃবি প্রতিনিধি:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমান এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করার চেষ্টার প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে বাকৃবি ছাত্রলীগের পার্টি অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দিয়ে গিয়ে মুক্তমঞ্ছে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে সরকার পতনের আন্দোলন, স্বৈরাচারী আন্দোলন নাম দিয়েছে, যারা নিজদের নব্য রাজাকার নাম দিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। একটি কোটা বিতর্কিত করা মানে মুক্তিযুদ্ধ,মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। আমরা অবশ্যই বলছি কোটার যোক্তিক সংস্কার করা এবং তা অবশ্যই রাষ্ট্র বিবেচনা করবে কত শতাংশ থাকবে কি থাকবে কিনা। বাকৃবির মাটিতে নব্য রাজাকারদের জায়গা হবে না। যদি কেউ এরকম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করতে চাই, তাদের বিরুদ্ধে নিজ অবস্থা থেকে রুখে দাঁড়াবেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য সম্পূর্ণ না শুনে ভ্রান্ত ধারনার কারণে শিক্ষার্থীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনিরা যদি সরকারি চাকরি না পাই তাহলে কি রাজাকাররা পাবে এটি তিনি উদাহরণ হিসাবে বলেছেন । ১৪ দিন ধরে ক্যাম্পাসে আন্দোলন হচ্ছে কেউ বলতে পারবে আমরা তাদের বাধা প্রদান করেছি। আন্দোকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা দাবি করতে পারেন ৭ তারিখে কোর্টের রায়ের আগ পর্যন্ত কোন কোটাধারীরা যাতে আবেদন করতে না পারে। তারপর ৭ তারিখের কোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে পুনরায় আন্দোলন করতে পারেন। অথচ তারা স্বেরাচারী মনোভাবে নিয়ে ২ দিনের ভেতর রায়ের দাবি জানাচ্ছে। কোর্টের একটা রায় আসা না পর্যন্ত সরকার কিভাবে পরিবর্তন করবে? ৭ তারিখে কোর্টের রায় সরকারের কাছে পাঠাবে, তারপর সেটি নির্বাহী বিভাগে পাঠানো হবে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোটা থাকবে কি থাকবে না । আপনাদের নিশ্চয়ই চিফ জাস্টিস এস কে সিনহার কথা মনে আছে, আওয়ামী লিগ সরকার ৫ম সংশোধনী নিয়ে গিয়েছিল। তখন কিন্তু চিফ জাস্টিস তা বাতিল করে দিয়েছিল।
এমআই