সিকৃবি প্রতিনিধি:
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির ‘প্রত্যয়’ স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বর্জন অব্যাহত রয়েছে। এসময় আন্দোলনকারীরা প্রত্যয় স্কিমকে প্রত্যাখান করেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি পালন অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আফরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অফিসার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অপর দিকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোঃ শরীফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি,এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মুখে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুল ইসলাম বলেন ভবিষৎ প্রজন্মের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এটা কি তাদের অপরাধ? তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় এসে অপরাধ করে ফেলেছে? তারা দিনরাত পরিশ্রম করে, ক্লাস, পরীক্ষা, গবেষণা, অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রেখে জাতির ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করছে। আর সরকার তাদের প্রত্যয় স্কিম অন্তর্ভুক্ত করে সুযোগ সবিধা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকাঙ্গন মেধাশূন্য হয়ে যাবে। জাতির বিবেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ সেটির বাস্তবায়ন কখনোই হতে দেবে না।
এসময় তিনি আরও বলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে তিনি জানান।
সময় জার্নাল/এলআর