সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের দাবিতে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে আব্দুল জব্বার মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে কে আর মার্কেটের দিকে অগ্রসর হয় এবং মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। মিছিলের সময় শিক্ষার্থীরা 'রাষ্ট্র তখন কি করে, আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরে' সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
মিছিলের আগে বিকাল সাড়ে ৪ টায় ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই অবরোধ বিকাল ৩ টা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হওয়ার মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলের রূপ নেয়।
জানা যায়, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রথা সংস্কার এবং সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন করে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। মিছিল ও সমাবেশে প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
শিক্ষার্থীরা সকল গ্রেডে (৯ম-২০তম) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে জরুরি অধিবেশন আহ্বানের দাবি জানান। বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সত্ত্বেও রেললাইন অবরোধ করতে সক্ষম হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন আটকে দেয়।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মালিহা মাশরাত বলেন, “যৌক্তিক আন্দোলনে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝড়ছে, আমার বোনের রক্ত ঝড়ছে। এ কেমন স্বাধীনতা, এ কেমন বাংলাদেশ।” তিনি আরও বলেন, “যদি আর একজনের রক্ত ঝড়ে, তাহলে বাকৃবি ছাত্র সমাজ এবং সারা বাংলার ছাত্র সমাজ জিরো টলারেন্স নীতিতে দাঁড়াবে।”
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ওয়াহিদা আঞ্জুম রিস্তা বলেন, “আমি সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত ছিলাম। কিন্তু এখন লজ্জা লাগছে যে আমার জন্য আমার ভাইদের রক্ত ঝড়ছে। আমি আমার ভাইদের অধিকার, বোনদের অধিকার হরণ করে এই কোটা চাই না। আমি চাই এর একটা বিহিত হোক, কোটা সংস্কার হোক।”
সময় জার্নাল/এলআর