মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
দেশে চলমান কারফিউয়ের মধ্যেও সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর সংশ্লিষ্ঠদের সহযোগিতায় গত শনিবার (২০ জুলাই) থেকে
বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। তবে অন্য সময়ের তুলনায় গত পাঁচদিন বন্দরে পণ্য আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমলেও কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে। এছাড়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু ও কারফিউ শিখিল হওয়ায় সীমিত পরিসরে পণ্য রপ্তানিও শুরু হয়েছে।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এসব পণ্যর মধ্যে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, টমেটো ও ক্যাপসিকাম বেশি আসছে। যে কারণে সাতক্ষীরার বাজারের এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমান সময়ে এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারে কাঁচা মরিচ পাইকারিতে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন আগে যা ছিল প্রায় ৩০০ টাকা কেজি।
তবে বন্দরের শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানান, অন্য সময়ের তুলনায় গড় আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তবে বুধবার থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু ও কারফিউ শিখিল হওয়ায় পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে পণ্য আমদানি বাড়বে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান বলেন, চলমান কারফিউয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজার বন্ধ ছিল। এজন্য কয়েকদিন আমদানির পরিমাণ কমে যায়। তবে বাজারে কাঁচামালের চাহিদা থাকায় সেগুলো নিয়মিত আমদানি হচ্ছে। বুধবার থেকে পণ্য রপ্তানিও শুরু হয়েছে। সরকার কারফিউ তুলে নিলে পণ্য আমদান
আরো বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমরা ভোমরা বন্দরের কার্যক্রম চলমান রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। গত শনিবার (২০ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কিছুক্ষনের জন্য বন্ধ থাকলেও দুপুরের পর থেকে তা আবার শুরু করা হয়। কাঁচা মরিচসহ আমদানিকৃত অন্যান্য কাঁচামাল ভর্তি ট্রাক গুলো স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর সংশ্লিষ্ঠদের সহযোগিতায় পুলিশ স্কট করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, বর্তমানে বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। গত পাঁচদিনে ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রায় সাড়ে ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানি হয়েছে। এসব পণ্য বন্দর এলাকা থেকে পুলিশ পাহারার মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কারফিউ না থাকলে এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে।
এমআই