বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫

বাম চেতনাধারীরাই মব জাস্টিসের প্রবর্তক: ঢাবি শিবির সভাপতি

বুধবার, আগস্ট ৬, ২০২৫
বাম চেতনাধারীরাই মব জাস্টিসের প্রবর্তক: ঢাবি শিবির সভাপতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেছেন, শাহবাগ তথা বাম চেতনাধারীরাই মব জাস্টিসের প্রবর্তক। তারা ২০১৩ সালে শাহবাগকে প্রকাশ্যে রায় ঘোষণার মঞ্চ তৈরি করেছিল। তারা ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিল, যা আজকে আয়নাঘর, গুম ও বিচারহীনতা সংস্কৃতির বীজ বপন করেছিল।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে ঢাবির টিএসসিতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক কর্মসূচিতে বাম সংগঠনের বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করে ঢাবি ছাত্রশিবির।

ঢাবি শিবির সভাপতি বলেন, শাহবাগের প্রজন্ম কখনোই আইনের শাসন বিশ্বাস করেনি। তারা মব তৈরি করে মিডিয়াকে ম্যানুপুলেট করে জাতিকে ধুয়ো দিয়েছে। তারা আজও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখার বর্ণচোরা কাজে লিপ্ত। ইতিহাসে বিচারের নামে ফাঁসি নয়, রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আর এ হত্যাকাণ্ডের দায় শুধু হাসিনার সরকারের নয়, শাহবাগ পন্থী ও বামপন্থী সংগঠনগুলোও এই দায় এড়াতে পারবে না।

ফরহাদ বলেন, আমাদের আজকের আয়োজনের প্রেক্ষিতে যারা বিক্ষোভ করেছে তারা বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা। কিন্তু বেশ কয়েকটি মিডিয়া তাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে দেখিয়েছে যা একটি দ্বিচারিতামূলক আচরণ। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরাও চাই। মুক্তিযুদ্ধের পরে একটি চক্র বাকশাল কায়েম করেছে। পরবর্তীতে সেই প্রজন্ম এসে শাহবাগ তৈরি করেছে। তাদের দ্বারা বিভিন্ন সময় বিচারিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং তারাই হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে তৎপর।

তিনি বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের এক্সটেন্ডেড (সম্প্রসারিত) রূপ হচ্ছে আজকের চব্বিশের অভ্যুত্থান। ৭১ এবং ২৪ কে মুখোমুখি করার যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে তারা তাদের কিছু এজেন্ডা কুক্ষিগত করতে চায়। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের স্বীকার হয়ে যারা পুরোনো ইস্যুকে (বিষয়) হাজির করে জাতিকে বিভাজন করার দিকে ও মিথ্যা বয়ান চাপিয়ে দেন তাদের রাজনীতি কখনোই টিকবে না।

যারা শাহবাগের পক্ষে ছিল তাদের উদ্দেশ্যে শিবিরের এ নেতা বলেন, বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় দেওয়া হলে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তখন গুলি করে প্রায় ২০০ মানুষ হত্যা করা হয়। সেদিনে গুলি করে হত্যা করাটাকে যারা বৈধতা দিয়েছিল, সেই বৈধতা দেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ অভ্যস্ত হয়েছে গুলি করে হত্যা করায়। পরবর্তী জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে তারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এই যে বৈধতা দিয়ে যারা প্রকাশ্যে দুই শতাধিক মানুষকে হত্যা করার বৈধতা উৎপাদন করেছে, তারা এই দায় কখনো এড়াতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা আবারও স্পষ্ট করছি- সব ধরনের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান ছিল, এখনো আছে, সামনেও থাকবে। শাহবাগের মধ্য দিয়ে তাদের যে বিভাজনের রাজনীতি এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দাঁড় করাতে চেয়েছিল, চব্বিশে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ঠিক একইভাবে বাহাত্তর সাল থেকে তাদের নীরব প্রচেষ্টা এবং সক্রিয় প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে বাকশাল কায়েম করার চেষ্টা করেছিল। তারা ব্যর্থ হয়েছে, পারেনি।

এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল