বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক

রোববার, জুলাই ২৮, ২০২৪
গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আরও অর্ধশতাধিক নিহত ও শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৫৩ জন নিহত ও আরও ১৮৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দেইর আল-বালাহ শহরের কাছে একটি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই স্কুলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহ শহরের খাদিজা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু ও আটজন নারী রয়েছেন। তাছাড়া স্কুলটিতে অবস্থানরত ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, খাদিজা স্কুলের ভেতরে হামাসের একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ছিল। স্কুলটিকে হামাস হামলার নির্দেশ, পরিকল্পনা করার ও অস্ত্র মজুত করে রাখার গোপন স্থান হিসেবে ব্যবহার করছিল।

অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, নিহতরা হামাসের কেউ না বরং সবাই-ই বেসামরিক নাগরিক। এমনকি, তাদের বেশিরভাগই শিশু। একটি ভিডিও যাচাই করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিও বলেছে, যাতে আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে বলে দেখা গেছে।

টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, স্কুলটি আমরা সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছি- এমন খবর মিথ্যা। ইসরায়েল ইচ্ছা করেই সেখানে হামলা চালিয়েছে। আর এতে নিহত হয়েছেন বাস্তুচ্যুত-অসুস্থ ও আহত মানুষজন, যাদের অধিকাংশই আবার নারী ও শিশু।

মোস্তফা রাফাতি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, বিকট বিস্ফোরণে আমি কেঁপে উঠি ও মাটিতে পড়ে যাই। পরে কোনো রকমে উঠে দৌড়ে স্কুলের ভেতরে যাই ও সেখানে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পড়ে থাকতে দেখি। ভয়ানক এক দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় বর্বর বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই বর্বর আগ্রাসনে আহত হয়েছেন। আর ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল