এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর সড়ক বিভাগের তত্বাবধানে পরিচালিত ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার বোয়ালমারীর উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল বাজারের (মাঝকান্দি-গোপালগঞ্জ) সড়কে ৫০০ মিটার ড্রেন নির্মাণ করছে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অভিযোগ উঠেছে ড্রেন নির্মাণে ব্যাজ ঢালাইয়ে সোলিংয়ের নিচে বালু না দেয়া, নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা, সঠিক মাপের (১২ মিলি) রড় না দেওয়া, বৃষ্টির মধ্যেই কাজ চালিয়ে যাওয়াসহ নানাবিধ।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল বাজারের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য ৫০০ মিটার দীর্ঘ ওই ড্রেনের নির্মাণ কাজ করছে মেসার্স কেএম এন্টারপ্রাইজ নামে ফরিদপুর শহরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
ড্রেন নির্মাণের বিষয়ে সহস্রাইল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. চুন্নু বিশ্বাস বলেন, শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়। এ বিষয়গুলো কি সংশ্লিষ্ট দপ্তর কি দেখছে না, নাকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে সুবিধা নিচ্ছেন সরকারি কর্মকতারা।
একই অভিযোগ করেন বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা। তিনি বলেন, ইটের খোয়ার ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। আমরা এলাকাবাসী এইকাজে বাধা দিয়েছি। পরে সরকারি লোক এসে পাথরের ঢালাই দেওয়ার কথা বলে গেছে।
ড্রেনটি নির্মাণে সম্পূর্ণ পাথরের ঢালাই হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ইটের ঢালাই দেওয়ার চেষ্টা করে বাধাগ্রস্ত হয়। ড্রেনের গ্রাউন্ড ঢালাইয়ের সোলিংয়ের নিচে একেবারেই বালু দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বাজার বনিক সমিতির লোকজন ও এলাকাবাসী। এছাড়া অতিনিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে এ কাজে।
এ ব্যাপারে মেসার্স কেএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সিলটনের মুঠোফোনে কল করলে ফোনটি রিসিভ করেননি।
ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, কাজ নিম্নমানের হওয়ার সুযোগ নেই। ড্রেন নির্মাণে পাথরের পরিবর্তে ইট ব্যবহারের সুযোগ নেই। যেই কাজ করুক সরকারি নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের বলা হয়েছে সরকারি কাজ সঠিক উপায়ে বুঝে নেওয়ার জন্য। যাতে কোন প্রকার অনিয়ম না হয়।
সময় জার্নাল/এমআই