নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। সরকার তাদের ভিডিওসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ দেখিয়েছে। আন্দোলন ঘিরে মৃত্যুর তদন্ত ও বিচার নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটিকে জাতিসংঘ কারিগরি সহায়তা করতে চাইলে সরকারের আপত্তি নেই বলেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উন্নয়ন অংশীদার দেশের রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, চলমান ঘটনা নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা জানতে অনেক দেশ আগ্রহী ছিল। গ্রেপ্তারের সংখ্যা, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা, সভা-সমিতি ও সমাবেশের অধিকার হরণ করা হচ্ছে কিনা, বাকস্বাধীনতা আছে কিনা– এসব বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে কয়েকটি দেশের। বিদেশিদের এখানে বিনিয়োগ আছে। উত্তরাতে কিছু বায়িং হাউজে কয়েকটি দেশের নাগরিকরা কর্মরত ছিলেন। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তারা যোগাযোগ করতে পারেননি। এসব নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে। কূটনীতিকদের আমরা হালনাগাদ তথ্য ও ভিডিও দেখিয়েছি। আমরা জানিয়েছি, হেলিকপ্টার থেকে র্যাব গুলি করেনি। এ ছাড়া আন্দোলনের সময় বিটিভিতে কঠিন পরিস্থিতিতে বিজিবি ও পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, সেটাও তুলে ধরেছি। ভিডিওচিত্র দেখানোর পাশাপাশি পেনড্রাইভে নানা ঘটনার ভিডিওচিত্র তাদের সরবরাহ করেছি।
তিনি আরও বলেন, কূটনীতিকদের সামনে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। জানিয়েছি, আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন কাজ শুরু করেছে। কমিশন সুষ্ঠুভাবে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করবে। হতাহতের ঘটনায় দেশের তদন্ত কমিটিকে জাতিসংঘ কারিগরি সহায়তা করতে চাইলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে আলাদা কোনো তদন্ত কমিটিতে এখনই উৎসাহ নেই।
চলমান ঘটনায় সরকারের প্রতি বিদেশিদের অনাস্থা তৈরি হয়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যে কোনো জিনিস নিয়েই কথা বলতে প্রস্তুত। কূটনীতিকদের সঙ্গে আমরা তথ্য শেয়ার করেছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে এটা শেয়ার করব। কোটা আন্দোলন ঘিরে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়েনি।
এর আগে দুপুরে আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উন্নয়ন অংশীদার রাষ্ট্রের কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন মাসুদ বিন মোমেন।
এমআই