নিজস্ব প্রতিনিধি:
ছাত্র গণ অভ্যুত্থানে জন রোষে পড়েছিলো সারাদেশে পুলিশ সদস্যরা। সেই আতঙ্ক কাটেনি এখনো। সদ্য পদত্যাগ হওয়া শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কারফিউ শেষে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুললে রাজধানী ঢাকার কোথাও দেখা যায়নি যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।
মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) সকাল থেলে রাজধানীর বাড্ডা রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, পল্টন, কাকরাইল, গুলিস্তান সিগনালে কোন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। সড়কের প্রতিটি মোড়ে পুলিশ বক্স হয় আগুনে পোড়া না হয় ভাঙচুর দেখা গিয়েছে।
সকাল ৯টায় রাজধানীর মালিবাগ আবুল হোটেল সিগনালে দেখা যায়, সেখানে গাড়িগুলো নিজেদের মত করে যাচ্ছে। কোন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি।
একই চিত্র ব্যস্ততম গুলিস্তান সিগনালে। সেখানে অফিস শুরুর আগে গাড়ির চাপ থাকলে সেই চাপ সামাল দেওয়ার মত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি।
পল্টন এলাকায় পাঠাও চালক মোস্তাফা বলেন, 'ট্রাফিক পুলিশ এতদিন অন্যায়ভাবে আমাদের অনেক মামলা ও হয়রানি করেছে। আজকে কেউ নাই। কারণ তারা জানে রাস্তায় বের হলে মানুষ মেরে ফেলবে।'
একই সুরে কথা বলেন গুলিস্তান এলাকায় মালঞ্চ পরিবহনের গাড়ি চালক আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, 'পুলিশের অন্যায় অত্যাচারে রাস্তায় গাড়ি চালানো যেতনা। পথে পথে চাঁদা দিতো হতো। আজকে পুলিশ না থাকায় কোথাও কোন চাঁদা দিতে হয়নি।'
সময় জার্নাল/এলআর