বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রাথমিকভাবে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে এসকল দাবি নিয়ে কথা বলেন তারা।
আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে একত্রিত হন বিভিন্ন হলে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রতিটি হল থেকে ২ জন করে একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সাথে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা তাদের ৭ দফা দাবি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কাছে তুলে ধরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ক্যাম্পাসে সকল ধরনের শিক্ষক, ছাত্র, কমকর্তা ও কর্মচারী রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করে আগামী রবিবারের মধ্যেই জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাস করতে হবে, আগামী রবিবারের মধ্যে হল খুলে দেওয়া এবং একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিতে হবে, ভার্সিটি প্রশাসন ও হল প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বসে গঠন করতে হবে, ক্যাম্পাসের সকল আবাসিক হলে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, বহিরাগত দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ প্রশাসনকে বহন করতে হবে, যেকোনো পক্ষ থেকে কোটা আন্দোলনকারীদের হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে থাকা অবস্হায় যেসকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এদিকে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি বন্ধের সাথে শিক্ষকগণ নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছেন। অতি শীঘ্রই সিন্ডিকেট সভায় পাস করা হবে বলে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে বিভিন্ন শিক্ষক বিষয়টি বিভিন্নভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। রাজনীতি না থাকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেখা যায় যে, তাদের মধ্যে বিরক্তিকর ভাব প্রকাশ পেয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হলগুলো মেরামত করে অতি শীঘ্রই হলগুলো খোলার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে প্রশাসন গঠনের দাবির বিষয়টি শিক্ষকবৃন্দ বিভিন্নভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া বাকি দাবিসমূহের সাথে শিক্ষকগণ একাত্মতা পোষণ করেছেন এবং অতি শীঘ্রই বাস্তবায়নের জন্য আশ্বস্ত করেছেন।
আলোচনার শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস সিন্ডিকেট সভায় লিখিত আকারে পাস করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বসে গঠন না করা হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এসময় সকল শিক্ষার্থীকে অতি শীঘ্রই ক্যাম্পাসে চলে আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং এ বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
এমআই