নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্ষমতার পালাবদলে ছাত্রজনতার দাবির মুখে আপিল বিভাগের সিংহভাগ বিচারপতি পদত্যাগ করায় সেই শূন্যস্থান পূরণে চারজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চারজন বিচারপতি হলেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত নিম্নবর্ণিত (৪ জন) বিচারককে তাঁহাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপীল বিভাগের বিচারক নিয়োগদান করিয়াছেন।’
বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সংবিধানের ৯৫ (১)-এ বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্র্রপতি অন্যান্য বিচারপতিকে নিয়োগদান করবেন।’ ৯৫ (২) অনুসারে, ‘কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হলে এবং (ক) সুপ্রিমকোর্টে অন্যূন ১০ বছর অ্যাডভোকেট না হয়ে থাকলে, বা (খ) বাংলাদেশের রাষ্ট্র্রীয় সীমানার মধ্যে অন্যূন ১০ বছর কোনো বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠান না করে থাকলে, অথবা (গ) সুপ্রিমকোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ লাভের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলে, তিনি বিচারপতি পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নেওয়ার আগে ও পরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগের পর সরে গেছেন প্রধান বিচারপতিসহ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারক। ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এবার আপিল বিভাগেও নিয়োগ দেওয়া হলো বিচারপতি। এতে উচ্চ আদালতে বিচারকাজ শিগগির পুরোদমে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমআই