মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

হঠাৎ বন্যা ৮ জেলায়, পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২২, ২০২৪
হঠাৎ বন্যা ৮ জেলায়, পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে

জেলা প্রতিনিধি:

পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও অভ্যন্তরীণ সব সড়ক। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তিন উপজেলার বাসিন্দারা। বিশাল জলরাশিতে শেষ হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। নষ্ট হয়েছে ফসলি ভূমি, মাছের ঘের, পোল্ট্রি খামার। নিহত অন্তত দুই। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধার অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় বন্যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এসব উপজেলার অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানির নিচে। এ ছাড়াও ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজীতেও অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি। জেলা শহরের মূল সড়কে কোমরপানি উঠে গেছে বিকালেই। অন্য উপজেলাগুলোতেও লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি। 

জেলা প্রশাসন দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করছে। ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ভারতের ত্রিপুরার ডিম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক বাঁধ খুলে দেয়ায় হঠাৎ মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে কখনো বড় ধরনের বন্যার মুখোমুখি না হওয়া এসব মানুষ। 

বুধবার ভোর থেকেই পানি বাড়তে থাকে। বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে এ নিয়ে তৃতীয়বার বন্যার কবলে পড়েছে জেলার তিন উপজেলার দুই শতাধিক গ্রাম। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পরশুরামে স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, টানা বর্ষণ আর ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৭টি ভাঙা অংশ দিয়ে হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। 

পরশুরামের শালধর গ্রামের আবু ইউসুফ বলেন, বেশির ভাগ এলাকার একচালা ও পাকাঘর ডুবে গেছে। কোথাও আশ্রয় নেয়ার মতো অবস্থান নেই। ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টায় ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলা জুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল