নিজস্ব প্রতিনিধি:
হত্যা মামলায় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত গ্রেফতার হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি জুলাই ২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পরে তিনি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
আরাফাতের পিতা মোহাম্মদ সেতাব উদ্দিন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ছিলেন। তিনি শহীদুল্লাহ কায়সার এবং পান্না কায়সারের মেয়ে শমী কায়সারকে ২০০৮ সালের ২৪ জুলাই বিয়ে করেন। ২০১৫ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর বিয়ে করেন শারমিন মুস্তারিকে।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন শিক্ষাবিদ। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।
সময় জার্নাল/এলআর