মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
কলেজ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের (প্রস্তাবিত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ) বিভিন্ন ব্যাচের ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১১টি অভিযোগপত্রের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ এ. এফ. এম নুরউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই নোটিশে জানানো হয়েছে হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষার্থী নির্যাতনের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে এসব শিক্ষার্থীকে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও স্থায়ী শাস্তির আদেশ না আসা পর্যন্ত সাময়িকভাবে ক্যাম্পাস ও হোস্টেল থেকে বহিষ্কার দও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। একই সাথে বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গঠিত তদন্ত কমিটির সম্মুখে প্রয়োজনে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে ওই নোটিশে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ২৫ তম ব্যাচের নিঝুম ও পিয়াস, ২৬তম ব্যাচের রাকিব ও জীবন ২৭তম ব্যাচের জাকির, আশিকুল, জয়, নয়ন, সাইমন, শিবলী, সালমান ও ফজলে রাব্বী, ২৮তম ব্যাচের দিদার, ফারহান, ইয়াকুব, সানাউল্লাহ, অপূর্ব, প্রীতম, জোবায়ের, শরীফ, তানভীর, অনিক ও সাইদ আরাফাত, ২৯তম ব্যাচের তূর্য্য, রেদওয়ান সাকিব, বাপ্পা, সিদ্দিক, অনিক, আসাদ, জয় সাহা, রিফাত, ইনমি, আরাফাত, আমীর ও সাদমান সাকিব এবং ৩০তম ব্যাচের হৃদয় চন্দ্র শীল, দিহান, নাজমুল ও নিবিড়।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আবাসিক হলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতো। কথায় কথায় রেগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। প্রতিবাদ করতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকেই। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ এফ এম নুরউল্লাহ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাদেরকে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাহাব আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিলে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এমআই