নিজস্ব প্রতিনিধি:
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পদত্যাগের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোন মুহূর্তে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সিইসি। ইসির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলন থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হবে।
সর্বশেষ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের পাশাপাশি ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান ও করণীয় জানতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেখা করার বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে আউয়াল কমিশন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো নির্বাচন কমিশনেও সংস্কার আসছে এটি নিশ্চিত বলে মনে করছেন তারা। সেজন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা অফিস করলেও বর্তমানে তাদের বিদায়ের প্রস্তুতিই প্রাধান্য পাচ্ছে। শেষ সময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় জরুরি কাগজপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নিচ্ছেন তারা।
সরকার পদত্যাগের পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে দাওয়াত পেয়েও যাননি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার অজুহাতে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক হয়েছে।
আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজের দফতরে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল জানান, পদত্যাগের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার জানানো হবে। যা বলার বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সংবাদ সম্মেলনে বলা হবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর