অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর জেলায় ভয়াবহ বন্যা ও জোয়ারের পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে, ২২ হাজার ৭৬৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৮০৫০ হেক্টর জমির আমন ধানের ফসল।
দ্বিতীয়বার আমন ধান রোপনের সময়ও শেষ। এতে ক্ষতি হয় ৩৬৬৩ লক্ষ টাকা। একই ভাবে রোপা আমনের ১৪৩৯৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়, এতে কৃষকের ক্ষতি হয় ২৯২৬ লক্ষ টাকা। শরৎকালীন সবজি নষ্ট হয় ১০ হাজার ৩৯ হেক্টর। এতে কৃষকের ক্ষতি হয় ৫১৯০ লক্ষ টাকা।
কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, ফলবাগান নষ্ট হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ২০৯টি পরিবারের, এতে ক্ষতি হয় ২২ হাজার ৭৬৫ লক্ষ টাকার। অপরের দিকে ৫ উপজেলায় পান চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৬৬৩ পরিবার। এতে ক্ষতি হয় ১৬৮৩ লাখ টাকা। এছাড়া আদা, হলুদ, আখ, বোনা আমান ধানের ক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতি হয় ১২৭২০ লক্ষ টাকা।
সদর উপজেলার কুশাখালি ইউনিয়নের কাঁঠালি গ্রামের কৃষক আব্দুল হক জানান, ‘তিনি পাঁচ একর জমিতে আমন ধানের রোপা লাগিয়েছিলেন বৃষ্টিতে তার সকল ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।’
দিগুলি ইউনিয়নের রমাপুর গ্রামের কৃষক ফরহাদ জানান, ‘ তিন একর জমিতে আমন ধান, ১০ শতক জমিতে শাক সবজি লাগিয়েছিলাম। এবারের বন্যার তার সকল ফসল পানির নিচে পচেঁ গেছে । ঋণ নিয়ে জমি চাষ করেছেন। তিনি এখন প্রায় নিঃস্ব।’
কমলনগর, রামগতি, রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা ফসল হারিয়ে হতাশায় ভুগছে। কিভাবে সংসার ও ছেলে মেয়ের লেখাপড়া, চিকিৎসার খরচ চালাবে এ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত জেলার কৃষকরা।
কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দিন ফিরোজ অ আ আবীর আকাশকে বলেন, ‘স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় লক্ষ্মীপুরে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এতে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ২০৯ পরিবারের ২২ হাজার ৭৬৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ক্ষতির পরিমাণ জানানো হয়েছে।’
সময় জার্নাল/এলআর