শারমিন আক্তার কেয়া, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠনের যুব সেবা সংগঠন লিও ক্লাব অব কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি'র সার্বিক সহযোগিতায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার সাদকপুর গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০ জন কৃষক পেলেন ১০০ কেজি বীজ ধান। এতে অর্থ সহযোগিতা করে ঢাকা, সাভারের নবপুষ্প ফাউন্ডেশন।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ই সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় সাদকপুর গ্রামে লিও ক্লাব অব কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি'র স্বেচ্ছাসেবী দল বন্যার্ত ২০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ ধান বিতরণ করে। বন্যায় যেসকল এলাকার কৃষকদের ধানের জমি নষ্ট হয়েছে তাদের এই সংকটকে কাটিয়ে উঠতে এই সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানায় সংগঠনটি। এছাড়াও, সংগঠনের সংশ্লিষ্টরা জানান, এই পুরো সহযোগিতার কার্যক্রমে তাদেরকে অর্থায়ন করেছে ঢাকা, সাভারের একটি সেবা সংগঠন নবপুষ্প ফাউন্ডেশন।
বন্যার্ত কৃষকদের নিয়ে এমন উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হাসিন মাহতাব মাহিন বলেন, " সেবামূলক সংগঠন হওয়ায় আমাদের মূল লক্ষ্যই থাকে সংকটময় সময়ে মানুষদের পাশে দাড়ানো। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেও যেমন সেবামূলক কার্যক্রম করে এসেছি তেমনি বাহিরেও সবসময় চেষ্টা করেছি সেবা দিতে। বন্যায় আমরা ত্রান দিয়ে সহায়তা করেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও অর্থ উপহার দেওয়া হয়েছিলো।
এখন বন্যা শেষ হলেও ধানের জমি গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার একটা তীব্র প্রভাব পড়ছে কৃষকদের ওপর তাই স্বল্প পরিসরে হলেও তাদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি আমরা। অর্থ যোগান সীমিত হওয়ায় মাত্র ১০০ কেজি বীজ ধান সংগ্রহ করে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। চেষ্টা থাকবে এ ধরণের কাজগুলো আরও বড় পরিসরে করার। "
এ বিষয়ে নবপুষ্প ফাউন্ডেশন এর পরিচালক নূর মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত সানি বলেন, " আমাদের এই সংগঠন সবসময়ই মানুষদের জন্য কাজ করেছে। ক্রান্তিলগ্নে যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি আমরা। সামনেও সাংগঠনিকভাবে একক হোক কিংবা যৌথভাবে সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা। সবশেষে এটাই বলব ' জয় হোক মানবতার, জাগ্রত হোক মনুষ্যত্ব '।
সংগঠনের এমন উদ্যোগে কুমিল্লা জেলার, বুড়িচং উপজেলার সাদকপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ শেফাউল করিম বলেন, " একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন মাঠ পর্যায়ে এসে গ্রামের কৃষকদের পাশে দাড়াচ্ছে বিষয়টা সত্যিই প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীদের সংগঠনের এমন মানবিক কাজ অব্যাহত থাকুক। "
সময় জার্নাল/এলআর