বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘গ্রামীণ অর্থনীতিতে জৈব বর্জ্যের মূল্যায়ন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে জৈব বর্জ্যের পুনঃব্যবহার এবং টেকসই উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে যুক্তরাজ্যের কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের সিনিয়র গবেষক ড. থমাস হেস্টিংস প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ড. হেস্টিংস বলেন, “বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও জানান, কুইন্স ইউনিভার্সিটি এবং বাকৃবি যৌথভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে জৈব বর্জ্যকে (যেমন, বায়োগ্যাস) বিকল্প শিল্পে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চালাবে, যা দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ড. থমাস হেস্টিংস এবং কুইন্স ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার ড. পল এন উইলিয়ামস গবেষণার নেতৃত্ব দেবেন। এ সেমিনারের মাধ্যমে জৈব প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই অর্থনীতিতে এর অবদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী। সভাপতিত্ব করেন বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম। এছাড়াও সেমিনারে বাকৃবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের সূচনা বক্তব্য তুলে ধরেন বাকৃবির মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সুমন। সেমিনারে বক্তারা জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার ও এর টেকসইতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, ‘বাংলাদেশে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারে রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা জরুরি। এটি খাদ্য উৎপাদন এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখতে পারে। গবেষণার মাধ্যমে বায়োগ্যাস উৎপাদন, কম্পোস্টিং ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যা বাংলাদেশের গ্রামীণ শিল্প বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এমআই