এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের নানা অনিয়মের জের ধরে দুই পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।
একটি পক্ষ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে সামনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়ের অপসারণের দাবিতে ২৫-৩০ জন লোক ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করেছেন। এতে নেতৃত্ব দেন নব রেজিষ্ট্রিকৃত ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক মশিউর রহমান ও শিক্ষক তোফাজ্ঝেল হোসেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালে ১৫-২০ জন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ওই স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য মাথাপিছু ৫৮ হাজার করে সম্মানীর টাকা বরাদ্দ করে সরকার। বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় ওই টাকা স্বেচ্ছাসেবকদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন’।
এ সম্পর্কে ডা. শর্মী রায় বলেন, করোণাকালীন সময়ে তিনি এখানে দায়িত্বে ছিলেন না। যখন দায়িত্বে এসেছেন তখন অফিসে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী সম্মানির টাকা বিতরণ করা হয়েছে। শর্মী রায় অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘এই হাসপাতালের সাবেক কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি দীর্ঘদিন এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওই সময়ের কয়েক কোটি টাকার অডিট আপত্তি ও প্রায় অর্ধকোটি টাকার ওষুধসহ বিভিন্ন ধরণের মালামাল লোপাটের বিষয় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষে ডা. কামাল হোসেন কিছু লোকজন ম্যানেজ করে আমাকে এখান থেকে সরানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছেন’।
অপরদিকে এ অভিযোগ অস্বিকার করে ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, কারা কি কারণে মানববন্ধন করেছেন তা তার জানা নেই।
সময় জার্নাল/এলআর