জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই-আগস্টের শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা না করার বিষয়ে হাইকোর্টে রুল জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে আহতদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি এবং তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা মো. আলী নাজির শাহিন জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন। আদালত থেকে বের হওয়ার পর রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মাদ রায়হান আলম এ তথ্য জানান।
রিটকারী মো. আলী নাজির শাহিন বলেন, আমরা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আমি মুক্তিযুদ্ধ না দেখলেও ২৪ এর যুদ্ধ দেখেছি। ছাত্র-জনতার জীবন বাজি রেখে মুক্তির সংগ্রাম দেখেছি। জুলাইয়ের আগে আমাদের বিনিয়োগ গুলো হতো, সেগুলোর অপপ্রয়োগ হয়েছে। জুলাই অসাধারণ এক মাস। আমরা যারা পরবর্তী প্রজন্ম তারা দেখলাম। এ মাসটি আমাদেরকে একটি জায়গায় নিয়ে গেছে। একটা অসাধারণ মাহেন্দ্রক্ষণে উপনীত করেছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন কথা বলতে পারি। ভয়েজ রেইজ করতে পারি। এই স্বাধীনতা পেয়েছি। আমার ট্যাক্সের টাকা যেন আর কোনোভাবে নয়-ছয় না হয়। জুলাইয়ে যারা আত্মাহুতি দিয়েছে তাদেরকে কেন আমরা সম্মানের জায়গায় দাঁড়াব না। রাষ্ট্র কেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে না। তাদেরকে মূল্যায়ন করতে পারলে আমরা সবাই কিছুটা হলেও একটা সম্মানিত বোধ করব।
বিজ্ঞ আদালত এগুলোকে বিষয়ের উপর শুনানি করে আদেশ দেবেন বলে আশা করছি।
এমআই