আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলের সেনাপ্রধান বুধবার তার সৈন্যদের বলেছেন, তারা যেন লেবাননে সম্ভাব্য স্থল হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকে। এরই মধ্যে ইসরাইলের জঙ্গি বিমানগুলো পর পর তৃতীয় দিনের মতো হিজবুল্লাহর সামরিক লক্ষ্যবস্তুর উপর বোমা বর্ষণ করেছে।
সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুযায়ী লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালাভি ট্যাংক ব্রিগেডকে বলেন, 'আপনারা এখানে বিমানের শব্দ শুনতে পারছেন; আমরা সারাদিনই আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছি, আপনাদের প্রবেশের সম্ভাবনা তৈরির জন্য যেমন তেমনি হিজবুল্লাহর উপর আঘাত হানা অব্যাহত রাখার জন্য।'
হালেভি বলেন, 'আমরা থামছি না । আমরা তাদের উপর আক্রমণ চালানো এবং সর্বত্র তাদের ক্ষতি সাধন অব্যাহত রাখবো। আর সে জন্য আমরা অনুশীলন করে যাচ্ছি এবং বিষয়টা হচ্ছে আপনাদের সামরিক বুট জুতা, আপনাদের এই অনুশীলনের বুট জুতা শত্রুর অঞ্চলে প্রবেশ করবে।'
জাতিসঙ্ঘ বলেছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি আক্রমণের কারণে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়েছে, অনেকেই বৈরুতের উত্তরে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। অবশ্য ইসরাইলি জেটগুলোর লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রাজধানীর কিছু এলাকাও রয়েছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে কয়েক ডজন অস্ত্রাগার । তারা আরো বলে যে হিজবুল্লাহর নিক্ষিপ্ত ৪০টি রকেট সনাক্ত করা গেছে এবং কয়েকটিতে বাধা প্রয়োগ করে ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ইসরাইল লেবানন সীমান্ত বরাবর এই ক্রবর্ধমান সংঘাত নিউ ইয়র্কে বুধবার রাতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান আলোচ্য বিষয় হবার কথা।
বুধবার পোপ ফ্রান্সিস বলেন, তিনি লেবাননের পরিস্থিতিতে দুঃখ বোধ করছেন। তার কথায় 'এই মারাত্মক ভাবে পরিস্থিতির অবনতি' বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাজ করতে হবে।
এই লড়াই নিয়ন্ত্রণে আনা এবং ব্যাপকতর আঞ্চলিক সংঘাত যাতে না ঘটে তার জন্য যে সব কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর সাথে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বৈঠক।
ম্যাক্রঁর দফতর জানায় যে তিনি 'সাধারণভাবে উত্তেজনা হ্রাস করতে এবং যারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে তাদের উপর প্রভাব' খাটাতে ইরানের দায়িত্বের কথা জোর দিয়ে বলেছেন।
সময় জার্নাল/এলআর