বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে গঠিত স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ প্রচেষ্টায় সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ব্যক্তিদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ এই তথ্যমতে সারা দেশে নিহতের সংখ্যা মোট ১ হাজার ৫৮১ জন। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য উপকমিটি ও নাগরিক কমিটিসহ অংশীজনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
উপকমিটির তথ্যমতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৩১ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। তবে এটা সম্পূর্ণ তথ্য নয় বলে জানান কমিটির সদস্যরা। অনেক আহতের তথ্য একাধিকবার এসেছে এবং অনেকের নাম এখনো এই তালিকায় যুক্ত হয়নি বলেও জানান তারা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব তারেক রেজা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গঠিত স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা সারা দেশে আন্দোলনে শহীদ ব্যক্তিদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রাথমিক তালিকায় মোট ১ হাজার ৫৮১ জন ব্যক্তির তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আমাদের প্রাথমিক তালিকার তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই কমিটি তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত তালিকা দেবে।
তিনি বলেন, তালিকা প্রণয়নের কাজে আমাদের সহায়তা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। পাশাপাশি, বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, যা এই তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা শহীদ পরিবারকে ফোন দিয়ে বা সরাসরি যোগাযোগ করে এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। তবে এখনো হয়তো আরও অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা শহীদ হলেও তাদের নাম এই তালিকায় আসেনি। আমরা জেলা কমিটিগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন প্রতিটি নাম ও তথ্যগুলো ভেরিফাই হয়ে আমাদের হাতে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা, আইটি টিমের ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইয়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী