সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সাথে শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিক্ষার মান উন্নয়ন, সেশনজট নিরসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবার মান উন্নয়নসহ বিভিন্ন দাবি লিখিত আকারে পেশ করেন। এর বাইরে শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন সমস্যা ও বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত সমস্যাগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এসময় সভায় ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানসহ বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, তোমাদের মূল পরিচয় তোমরা শিক্ষার্থী। আমি চাইবো শিক্ষার্থীরা যেন ক্লাসমুখী হয়। তারা যেন ক্লাস-শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় এবং গবেষণা কেন্দ্রিক অধিকাংশ সময় ব্যয় করে। সময়কে গুরুত্ব দিবে, কারণ সময়ের সাথে জীবনকে না বাঁধলে তোমরা পিছিয়ে যাবে। আমি আমার শিক্ষার্থীদের এমনভাবে দেখতে চাই যেন তাদেরকে নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে ঐক্যমত পোষন করি। তোমাদের সংস্কারের দাবি আমার কাজকে আরো সহজ করে দিয়েছে। আমি বিষয়গুলো নিয়ে সবসময় ভাববো। তবে আমার কাজ হবে পর্যায়ক্রমিক এবং সুচিন্তিত প্রক্রিয়ায়। কারণ তাড়াহুড়ো করে করা কোনো কাজ ভালো হয় না। আমার কাজ হবে আইন অনুসারে। কারণ আইন যদি চলে তাহলে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সবাইকে সমানভাবে দেখা হবে। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাঙ্গন চাই৷
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। সভায় উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী