মুরাদ হোসেন, হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
একবছরের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি সেরা গবেষক পেয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)।অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২১৩ জন গবেষক। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১১২।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং সংস্থা ‘অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’ এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২৪ হাজার ৩৩৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৪ লাখ ১৪০ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান।
এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের এই তালিকায় হাবিপ্রবির গবেষকদের মধ্যে প্রথমে রয়েছেন ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন ক্যাটাগরিতে ফুড প্রসেসিং এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মারুফ আহমেদ, দ্বিতীয় মেডিক্যাল এন্ড হেলথ সায়েন্স ক্যাটাগরিতে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক ড. উম্মে ছালমা, তৃতীয় স্থানে জেনেটিক্স এন্ড এ্যানিমেল ব্রেডিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. আব্দুল গাফফার মিয়া, চতুর্থ স্থানে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসাইন সরকার, পঞ্চম স্থানে রয়েছেন এগ্রিকালচার এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহা নুর কবীর।
এছাড়াও প্রথম দিকে রয়েছেন ক্রপ ফিজিওলজি ও ইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসালাম, ফুড ইন্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সুলতান মাহমুদ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আতিকুল হক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুল ইসলাম, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম সহ অনেকেই।
সেরা গবেষকের তালিকায় স্থান পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
এদিকে সেরা গবেষকের তালিকায় স্থান পাওয়া রসায়ন বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিম বলেন, সেরা গবেষক হওয়া শুধু স্বীকৃতি নয়, এটি দায়িত্ববোধও সৃষ্টি করে। মানসম্মত কাজের পাশাপাশি জনকল্যাণমুখী গবেষণায় মনোনিবেশ করা উচিত যা বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান দিতে পারে। আমার ৬ টি পেপার প্রকাশিত হয়েছে এবং ২ টি জমাদানসহ আরো ২ টির কাজ চলমান রয়েছে। এটি আমার জন্য বিশাল স্বীকৃতি এবং ভবিষ্যতে আরো উন্নত গবেষণার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
একবছরের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ সেরা গবেষক পেয়েছে হাবিপ্রবি
তিনি আরো বলেন, একটি গবেষণা পেপার পাবলিশ করতে অনেক ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। গবেষণার প্রতিটি ধাপ (লিটেরাচার সার্ভে, বিশ্লেষণ,এক্সপেরিমেন্ট ডিজাইন,ল্যাব ওয়ার্ক, লেখালেখি এবং সংশোধন) সময়সাপেক্ষ এবং যত্ন সহকারে করতে হয়। এছাড়াও, গবেষণার ফলাফলকে নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করা এবং রিভিউয়ারদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মারুফ আহমেদ বলেন , বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় আসার পর আমার প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় পাঠদান করা এবং বাকি সময়টুকু গবেষণা করা। আমি সেই চেষ্টাই করেছি। হাবিপ্রবিতে আমার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা যেন বেশি বেশি রিসার্চ করতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের উচ্চস্থানে উপনিত করতে পারে সেই প্রত্যাশা করি।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী