আরিফুল ইসলাম, সরকারি তিতুমীর কলেজ:
পৃথিবীর পরিবেশতন্ত্রের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রাণিকূল। প্রতিটি প্রাণীই এই জটিল জীবনব্যবস্থায় নিজস্ব একটি ভূমিকা পালন করে। খাদ্য শৃংখল, পরাগায়ন, বীজ ছড়ানো, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও পরিবেশের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাণীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বের সমুদয় প্রাণীকূলের অধিকার এবং কল্যাণের জন্য প্রতি বছর ৪ঠা অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস উদযাপিত হয়। জার্মান সাইনোলজিস্ট হেনরিখ জিমারম্যান সর্বপ্রথম ১৯২৫ সালে এ দিবস আয়োজন করেন। ঐ ইভেন্টে ৫ হাজারের অধিক লোক অংশগ্রহণ করেছিল। পরবর্তী আয়োজনগুলোতে পরিবেশবিদগণ বিপন্ন প্রজাতির জীবদের দূর্দশার কথা তুলে ধরেন। ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা নেচারওয়াচ ফাউন্ডেশন কর্তৃক এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবছর ‘পৃথিবীটাও তাদের বাড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব প্রাণী দিবস।
পৃথিবীতে প্রাণিদের বর্তমান অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। মানুষের কার্যকলাপের কারণে প্রাণিকূল বিপন্ন হয়ে পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস, প্রাণী শিকার, দূষণ, রোগ ইত্যাদি কারণে অনেক প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বা বিলুপ্তির শঙ্কায় রয়েছে। ফলে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। যা পুরো পৃথিবীর জন্যই হুমকিস্বরূপ।
এ বিষয়ে সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সাবিনা ইসলাম বলেন, প্রাণীরা আমাদের ইকোসিস্টেমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রাণী ব্যবস্থাপনার ভূমিকায় আমাদের তেমন কোনো সচেতনতা নেই। আমাদের যেসব প্রাণিজ সম্পদ আছে আমরা সেগুলোকে মূল্যায়ন করছি না। আমাদের দেশে আইন প্রয়োগ হয়না বিধায় মানুষ নির্বিচারে প্রানী হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদ রক্ষায় ‘প্রাণিদের রক্ষা করো, আমার দেশ বাঁচাও, ইকোসিস্টেম রক্ষা করো’ ইত্যাদি স্লোগানে আমরা বিভিন্ন লিফলেট ও র্যালি আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি।
এমআই