সাইদ আহম্মদ,শেকৃবিঃ
ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে হত্যার বিচারের দাবীতে শেরেবাংলানগর থানায় মামলা দায়েরের উদ্দেশ্য করা অভিযোগ পত্রে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ( এএসভিএম) মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি ডিপার্টমেন্টর সহযোগী অধ্যাপক মো: কামরুল হাসানের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থীরা। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সেই শিক্ষককে ফাঁসানো চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের। এর প্রতিবাদে শেরেবাংলানগর থানা এবং ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ জুমাবার (৪ অক্টোবর) বেলা ৩. ০০ টায় ক্যাম্পাসের বিজয়-২৪ হলের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা শেরেবাংলা নগর থানার সামনে জড় হয়ে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং অভিযোগ পত্র থেকে কামরুল হাসানের নাম বাতিলের দাবি জানান।
মূলত ছাত্রজনতার গনভ্যূত্থেনের সময় নিহত হাফিজুর রহমান সুমনকে হত্যার বিচারের দাবিতে মামলার উদ্দেশ্য করা অভিযোগ পত্রে এই শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এই হত্যার সাথে শিক্ষকের কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। ছাত্র আন্দোলনের শুরুর দিক থেকে ছাত্র আন্দোলন পক্ষে ছিলেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা যার প্রমান মিলেছে শিক্ষক কামরুল হাসানের ফেসবুক পোস্টে
এ বিষয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্র জনতার গনঅভূত্থানের মাধ্যমে যে সরকারের পতন ঘটেছে। এ আন্দোলনে যখন ছাত্রদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছিলো তখন শুরুর দিকে শেকৃবির কোন শিক্ষক এগিয়ে আসেন নাই। সেই সময় শহীদ আবু সাইদের পোস্ট শেয়ার দিয়ে শেকৃবির শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম যিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন কামরুল স্যার। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে কোন অন্যায় অবিচার হলে কামরুল স্যার সবার আগে ছাত্রদের পাশে দাড়ান তবুও আপনারা স্যারের রুমের অবস্থার দিকে তাকালে দেখতে পাবেন তিনি গত গত বছর গুলোতে কত বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আমরা এই মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং কোন অপশক্তি যদি আবারো স্যারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের কালোহাত ভেঙ্গেদিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী