আলী আজীম,বাগেরহাট প্রতিনিধি:
২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর থেকে আর দলটি ক্ষমতা থেকে বের হতে চায়নি।
কিন্তু গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবর প্রকাশের পর ও অভ্যুত্থান পরবর্তী অরাজকতা ও প্রতিশোধমূলক আক্রমণের ভয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই গেছেন আত্মগোপনে। মন্ত্রী- সংসদ সদস্যদের অনেকেই গোপনে দেশ ছেড়েছেন।
অনেকেই বলছেন আ'লীগ করলেও তাদের কয়েকজনের রয়েছে ক্লিন ইমেজ। যে কারণে তারা প্রকাশ্যেই রয়েছেন। কিন্তু প্রতিশোধমূলক আক্রমণের ভয়ে অনেকেই রয়েছেন আত্মগোপনে।
ক্লিন ইমেজের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর আ'লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, পৌর সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন, পৌর আ'লীগের সাংগঠনিক ও সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখ সহ আরো অনেকে।
সাবেক পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরসহ অধিকাংশরাই আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আছেন আত্মগোপনে। ফলে অনেকে নাগরিক সেবায় বেগ পেতে হয় অনেকের। পরবর্তিতে এক প্রঙ্গাপনে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হলেও নাগরিকদের অনেকেই বলছেন কাউন্সিলরদের এই মুহুর্তে অপসারণ না করলেও হতো। জন্ম/মৃত্যু সনদ পেতে যে হয়রানী তা হতে হতো না।
মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের প্রথম সারির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আওয়ামী লীগের অনেকের ক্লিন ইমেজ থাকলেও প্রতিশোধমূলক আক্রমণের ভয়ে তারা আত্মগোপনে রয়েছেন।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী