অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরানুল হক।
শুক্রবার বিকেলে তিনি সময় জার্নালকে জানান, বংশাল শাখার ভল্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। টাকা উদ্ধারে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। এই বিষয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পুলিশের পাশাপাশি আমাদের ইন্টারনাল অডিট অব্যাহত থাকবে।
এমডি আরও জানান, যে দু'জনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে তাদের একজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ব্যাংক। এফআইআরে চার কোটি টাকার কথা উল্লেখ করা হলেও তা কিছু কম-বেশি হতে পারে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ঠিক কতো টাকা সরানো হয়েছে তা জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্টে বৃহস্পতিবার তিন কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার হিসাবের গড়মিল পায় প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষা শাখা। এই ঘটনায় তলব করা হয় ব্যাংকের সিনিয়র ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হককে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যাংকের অডিট শাখার কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে তার কথায় অসংলগ্নতা পাওয়ায় আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসে একই শাখার ম্যানেজার অপারেসন্স ইমরান আহমেদের নাম।
পরে ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক অভিযুক্ত দুজন কর্মকর্তাকে বংশাল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকার গড়মিলের বিষয় অভিযুক্তরা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ বলছে, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ঘটনায় আরো কেউ জড়িত কি না সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সময় জার্নাল/এসএ