নিজস্ব প্রতিনিধি:
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার তৃতীয় দিন মহাষ্টমী আজ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় মহাঅষ্টমীর দিনে প্রতিবারের মতো এবারও রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুমারী পূজা।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা। শাস্ত্র মতে, এদিন মা দুর্গার অন্য কোনো নামে কুমারীর নামকরণ করা হবে।
রামকৃষ্ণ মিশনে এবারের পূজার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বামী হরিপ্রেমানন্দ (স্বপন মহারাজ) জানান, কোনো ছোট্ট শিশুকন্যাকে ‘কুমারী মা’-এর আসনে বসানোর পরপরই সকাল ৬টা ৫২ মিনিটে রামকৃষ্ণ মিশনে শুরু হয় কুমারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
সকাল সাড়ে ১০টায় কুমারী পূজা ও বিকেল ৫টা ২৪ মিনিটে সন্ধিপূজা আরম্ভ হয়ে সন্ধ্যে ৭টা ৪১ মিনিটে শেষ হয়েছে। মধ্যাহ্নে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতার সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে কুমারী পূজাকে কেন্দ্র করে নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে সকাল থেকেই মন্দির ও মণ্ডপগুলোতে ছোট-বড় ভক্তদের পদচারণা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভক্তদের ভিড় বাড়তেই থাকে।
পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১৬টি উপকরণ দিয়ে। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস– এই পাঁচ উপকরণে দেয়া হয় কুমারী মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হবে পুষ্পমাল্য। কুমারী পূজা শেষে ভক্তরা মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, কুমারী কন্যার পূজা একাধারে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা, মানবের বন্দনা আর পৃথিবীতে নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর সৃষ্টিকর্তার আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা।
কুমারী পূজা ছাড়াও আজ মহাষ্টমীতে রাজধানীর শাঁখারী বাজার, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালী মন্দিরসহ সারাদেশে বিভিন্ন মন্দিরে বেলা একটা থেকে দিনভর ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। মন্দির ও মণ্ডপগুলোতেও পূজা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে, বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসবের দুর্গাপূজা। রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।
সময় জার্নাল/এলআর