বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

শুধু গৃহসজ্জা নয় যাচ্ছে বিদেশে, স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই

শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৪
শুধু গৃহসজ্জা নয় যাচ্ছে বিদেশে, স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই

জেলা প্রতিনিধি:

‘লাকি ব্যাম্বু’ বা ‘ভাগ্যবান বাঁশ’। এ বাঁশ বাড়িতে রাখাকে শুভ বলে মনে করেন অনেকেই। কোনো কোনো দেশে একে ফ্রেন্ডশিপ বাঁশ, কোঁকড়া বাঁশ, চাইনিজ ওয়াটার ব্যাম্বু বা দেবীর দয়ার গাছসহ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।  উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এই বাঁশ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি শান্তিরামের হাফিজ এবং হাসিবুল মিলে চাষ করেছেন লাকি ব্যাম্বু। লাকি ব্যাম্বু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের টব এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে কয়েক বছরে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন দুই ভাই।

তরুণ উদ্যোক্তা হাফিজ বলেন, ‘প্রথমে অনেকটাই হতাশ হয়েছিলাম। এসব পণ্য তৈরি করে কোথায় বিক্রি করবো? তবে গৃহসজ্জার জন্য তৈরি এসব পণ্য দেশেই নয়; বিদেশেও যাচ্ছে। আয়ও হচ্ছে। নিজেরা অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছি। আমার মতো অন্যরা উদ্যোক্তা হয়ে যেন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, লাকি ব্যাম্বু উদ্ভিদের রং গাঢ় সবুজ বলে তা বাড়ির অন্তঃপুরে রাখলে ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সবুজের দিকে তাকালে চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকে। উদ্ভিদটিকে বাঁশ গাছ বলা হলেও এ গাছ আসলে বাঁশ প্রজাতির নয়, এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলের লিলি প্রজাতির গাছ।

 এলাকাবাসী জানান, এ বাঁশ দিয়ে সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র তৈরি হয়। দুই ভাইয়ের মতো অন্যরা এভাবে উদ্যোক্তা হয়ে বেকারত্ব দূর করবে, এমন আশা তাদের। 

তাদের চাষ দেখে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। দুই ভাইয়ের বাগান পরিচর্যা করে সংসার চালাচ্ছেন শ্রমিকেরা।
কলেজছাত্র ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বাঁশের তৈরি বিভিন্ন রকমের গৃহসজ্জার পণ্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছি। এটি খুবই ভালো। দেশের বেকার তরুণরা চাকরির পেছনে এত না দৌড়ে উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এমন উদ্যোক্তাদের পাশে কৃষি বিভাগ সব সময় আছে। চাষাবাদ বাড়াতে আরও উদ্যোগ নেওয়া দরকার। লাকি ব্যাম্বু চাষ করলে প্রতি বিঘায় ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।’

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল