নোমান ইমতিয়াজ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন মানসিক স্বাস্থ্য: সংকট ও উত্তরণ’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে স্টুডেন্টস এগেইন্টস ভায়োলেন্স এভ্রিহোয়ার (সেইভ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সেইভ রাবি চ্যাপ্টারের মডারেটর মামুন আব্দুল কাইউমের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপিকা মুর্শিদা ফেরদৌস বিনতে হাবিব ও অধ্যাপক তানজীর আহমেদ তুষার এবং ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সেইভ এর ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ড. আইনুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা শিক্ষার্থীদের আগামী দিনগুলোর জন্য এখন থেকেই পড়াশুনা ও বিভিন্ন সৃষ্টিশীল কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর ঘরবন্দী জীবনযাপনের ফলে শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। বিশ্বব্যাপী করোনার সঙ্কটে চারপাশে আক্রান্ত, মৃত্যু, অত্যাধিক ইন্টারনেট আসক্তি, অফলাইনে শিক্ষা ও শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের অভাব মাঝে মাঝে তাদের জীবনের উপর বিরক্তি আনছে। অনেকে জীবনকে অর্থহীন ভাবা শুরু করেছে এবং বিভিন্ন সামাজিক পরিমন্ডলে অভিযোজন না করতে পারার কারণে আত্মহত্যারও ঘটনা ঘটাচ্ছে-যা অপ্রত্যাশিত।
বক্তারা আরো বলেন, সেটি না নিতে পারলে করোনা পরবর্তী প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে খাপ খাওয়াতে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আর এ কাজগুলোর মাধ্যমে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে পারলে নিজের ভালো থাকার পাশাপাশি অন্যকেও ভালো রাখা যাবে।
প্রধান অতিথি উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভালো না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারও ভালো থাকে না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন শিক্ষার্থীদের খুুব দ্রুতই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শেষ করে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যাবে। যদি কোনো কারণে তা দেরী হয় তাহলে অনলাইন পরীক্ষার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০০ এর বেশি সদস্য নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেইভ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মাইক্রোগভার্নেন্স রিসার্চ ইনিসিয়েটিভ এর উদ্যোগে এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে উন্নয়ন সংস্থা আইএফইএস এবং ইউকেএইড। সংগঠনটির বাংলাদেশের যুবকদের মধ্যে শান্তি, সহনশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে।
সময় জার্নাল/এমআই