কে এম শাকীর,নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্তকরণের অভিপ্রায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখা।
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখা। এতে বক্তব্য রাখেন বড়ভিটা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলার রহমান, কিশোরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু, বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন, ইউপি সদস্য সাফিউল ইসলাম, ইউপি সদস্য রোজিনা ও ডাবলু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান- আমরা দিন রাত পরিশ্রম করে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ জনপদের আইন শৃংখলা রক্ষাসহ জনসেবা করে আসছি। জন্ম-মৃত্যু সনদ, নাগরিক-চারিত্রিক সনদ, গ্রাম আদালত পরিচালনা করে মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তিকরণসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন রকম সেবা দিয়ে আসছি। এছাড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নয়ন করার ফলে প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ জনগণের আশা ও ভরসার আশ্রয় স্থলে পরিণত হয়েছে। ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। ৫ আগষ্টের পরবর্তীতে বিশৃংখলা ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আমরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যানরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিয়েছি।
কিন্তু বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সেক্টরের উচ্চ মহলে এখনও স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা ভুল পরামর্শ দিয়ে জনপ্রিয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টাকে প্রাচীন জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে দেয়ার কু-পরামর্শ দিয়েছে। আমরা দাবী করছি যে সকল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য ছাত্র জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ্য তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এ অবস্থায় সকল ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে দিলে জনপ্রিয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে এবং জনমনে অসন্তোষ দেখা দিবে বলে মনে করছি। ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এ সরকার গঠন হয়েছে তা অর্জিত হবে না বলেও আমরা ধারণা করছি। তাই তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখার দাবী জানান। মানববন্ধনে অংশ নেন সকল ইউপি চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ইউপি সদস্যগণ।
মানববন্ধনের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। # সাথে ছবি আছে।
সময় জার্নাল/এলআর