সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
অনতিবিলম্বে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগকে জঙ্গী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একইস্থানে গিয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি হাইকোর্ট থেকে আওয়ামীলীগের দোসর আইনজীবী ও বিচারপতিদের দ্রুত অপসারণেরও দাবি তোলেন। এছাড়া জুলাইয়ের ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলাকারীদের গ্রেফতারে সরকারের দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদও জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যাদের হাতে আমাদের ভাই-বোনদের রক্ত লেগে আছে সেই সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ দাবি ৫ আগস্টকে ত্বরান্বিত করা আবু সাইদ, মুগ্ধ ও সকল শহীদদের দাবি। এ দাবি আমাদের সকলের প্রাণের দাবি। গত ১৫বছর ধরে আওয়ামী সরকার সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছিলো। তারা পুনরায় বিভিন্ন ক্যু করে এ অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। অনতিবিলম্বে তাদের বিরূদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আওয়ামীলীগের পক্ষে আইনজীবীদের স্লোগানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আওয়ামী সরকারের দালাল যেসকল আইনজীবী ও বিচারপতি গণহত্যার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করছে তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত ১৫ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার বিভিন্নভাবে ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে, গুম করেছে। যেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে এদেশের মানুষের রক্ত জড়িয়ে আছে সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে এদেশে আমরা আর দেখতে চাই না। ছাত্র জনতার প্রাণের দাবি এ সন্ত্রাসীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে ও হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে। সরকার যদি আমাদের দাবিকে কর্ণপাত না করে তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।
সময় জার্নাল/এলআর