আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, 'এক বছর ধরে ধাওয়া' করার পর তারা বুধবার সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। হামাস এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, 'সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সাউদার্ন কমান্ডের আওতায় আইডিএফ ও আইএসএ বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলে কাজ করছিল। আইডিএফ ও আইএসএ গোয়েন্দারা জানিয়েছির, সেখানেই হামাসের সিনিয়র সদস্যরা থাকতে পারেন।'
তারা জানায়, '৮২৮তম ব্রিগেডের আইডিএফ সৈন্যরা ওই এলাকায় তিনজন সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করে তাদের হত্যা করে। এরপর লাশ শনাক্ত করার সময় নিশ্চিত হওয়া যায় যে ইয়াহিয়া সিনওয়ার শেষ হয়েছেন।'
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি ইসরাইলি সূত্র সিএনএনকে জানায়, রুটিন সামরিক অপারেশনের সময় ইসরাইলি বাহিনীর সামনে পড়েন সিনওয়ার।
সূত্র দুটি জানায়, ইসরাইলি সৈন্যরা গাজার একটি ভবনের কাছে তিনজনকে দেখতে পায়। তারা তাদের মুখোমুখি হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সৈন্যরা সিনওয়ারের মতো দেখতে একটি লাশ পায়। এরপর তারা সিনিয়র কমান্ডারদের বিষয়টি অবগত করে।
ইসরাইলি সৈন্যরা লাশের কিছু অংশ ইসরাইলি পাঠিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করে। এর মাধ্যমে তারা সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় বলে দাবি করে। তারা সাথে সাথে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানায়।
তবে সিনওয়ারকে শনাক্ত করতে অন্যান্য বায়োমেট্রিক্সের পাশাপাশি দাঁতের পরীক্ষা সবচেয়ে কার্যকর হয়েছিল বলে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। দাঁত দিয়ে সবচেয়ে সহজে শনাক্ত করা যায় বলে এক কর্মকর্তা জানান। সিনওয়ার দুই দশকের বেশি ইসরাইলের কারাগারে ছিলেন। তখনই ইসরাইলিরা সিনওয়ারের বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহ করে রেখেছিল।
এদিকে ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানায়, ইসরাইলি বাহিনী একটি ভবনে ওপরের তলায় 'সন্দেহজনক নড়াচড়া দেখে' সেখানে ট্যাঙ্ক দিয়ে গোলাবর্ষণ করে। এরপর তারা ড্রোন দিয়ে পুরো এলাকা তল্লাসি করে। তখনই সিনওয়ার নিহত হন।
গত আগস্টে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর হামাসের নেতা হন সিনওয়ার। গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইলে হামলার পর থেকে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছিল যে তিনি গাজার বিশাল ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্কে লুকিয়ে আছেন।
ইসরাইল বলে আসছে যে সিনওয়ারই ছিলেন গত বছরের ৭ অক্টোবরের ইসরাইলে হামলার 'মাস্টারমাইন্ড।'
সময় জার্নাল/এলআর