জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : স্বাস্থ্যবিধি মানার করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঠাকুরগাঁও জেলায় চলাচলে বিধিনিষেধের আজ রোববার চতুর্থ দিন চলছে। সাত দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় মারা গেছেন তিনজন। আর ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আজ সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, সম্প্রতি সদর উপজেলা, পৌরসভা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। কয়েক দিন পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৪, বালিয়াডাঙ্গীতে ১৭ ও রানীশংকৈলে ৫ জন রয়েছেন। একই সময়ে করোনায় ঠাকুরগাঁওয়ের তিন বাসিন্দা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসাপাতালে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বালিয়াডাঙ্গীর ৭০ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৫৫ বছর বয়সী এক নারী রয়েছেন। অন্যজন ৬০ বছর বয়সী নারী, যিনি হরিপুরের বাসিন্দা।
শহরের হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সিয়াম হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় করোনা পরীক্ষা বেশি, তাই শনাক্তও বেশি। উপজেলা পর্যায়ে যদি পরীক্ষা বাড়ানো যেত, তাহলে প্রকৃত অবস্থা বোঝা সম্ভব হতো। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন উপজেলা থেকে বিভিন্ন কৃষিপণ্য নিয়ে কৃষকেরা শহরের বাজারে আসছেন, এখানকার মানুষের সঙ্গে ঘুরছেন। তাঁরা যে সংক্রমিত হয়ে নিজ এলাকায় ফিরে যাচ্ছেন না, তার কী নিশ্চয়তা?
জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, চলমান বিধিনিষেধের সুফল পেতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। সংক্রমণ যেভাবে কমার কথা, সেভাবে কমছে না। ২৩ জুন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি পুনরায় বৈঠকে বসবে। বৈঠকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির কথা ভাববে কমিটি।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৭ জুন থেকে জেলায় বিধিনিষেধ চলছে, যা ২৩ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সময় জার্নাল/এমআই